আবির দত্ত, কলকাতা : মোমিনপুরকাণ্ডের ( Mominpur Incident ) তদন্তে লালবাজারে গেল এনআইএ ( NIA )। এসপি এনআইএ কলকাতার নেতৃত্বে ৫ জনের প্রতিনিধিদল এদিন লালবাজারে আসে। সূত্রের খবর, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তদন্তকারীর।


এর আগে মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সিট গঠন করা হয়।তারা কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠায়। লালবাজারের তদন্তে মোমিনপুরকাণ্ডে কী তথ্য উঠে এসেছিল, জানতে চায় এনআইএ। 


গত ১৯ অক্টোবর, মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায়  তদন্ত শুরু করে এনআইএ।  ৮ অক্টোবর রাত থেকে মোমিনপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। ৫টি  FIR করে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ।  কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের রিপোর্ট এবং মামলার গুরুত্ব বুঝে, NIA তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। শেষপর্যন্ত অমিত শাহের অধীনস্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে সেই তদন্তভার নেয় NIA।  এতদিন কলকাতা পুলিশ ৫টি এফআইআর করে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল।  গ্রেফতার করা হয় ৬১ জনকে।

আরও পড়ুন :


কতটা গভীর হতে চলেছে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ? কতটাই বা দুর্যোগ হবে কলকাতায় ?




যদিও বিরোধীরা কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই আবহে ১২ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের রিপোর্টের ভিত্তিতে ও মামলার গুরুত্ব বুঝে এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মোমিনপুর অশান্তির ঘটনায় তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।   এরপর ব্যাঙ্কশাল আদালতে এফআইআর জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  হিংসা ছড়ানো, বিস্ফোরক আইন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে চেয়ে আবেদন জানায় এনআইএ।


ব্যাঙ্কশাল আদালত এদিন নির্দেশ দেয়, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতা পুলিশ এই মামলা সংক্রান্ত সব নথি এনআইএ-র হাতে তুলে দেবে। ওই দিন ধৃতদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেবে এনআইএ। রাজ্যে আরও এক ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে, সে নিয়ে একদিকে শাসকদল সুর চড়িয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরকেই নিশানা করেছে কংগ্রেস।


আগেও একবার , এদিন, লালবাজারে গিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন NIA অফিসাররা।