ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর চরম অশান্তি। ক্যাপিটল হিলে হামলা হাজার হাজার সমর্থকদের (US Capitol Violence)। সেই ঘটনায় এ বার তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে হবে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির ডেমোক্র্যাট শিবিরে সাত জন এবং রিপাবলিকান শিবিরের দুই সদস্য সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যতই নজিরবিহীন। 


ট্রাম্পকে তদন্তকারীদের সামনে হাজির করার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত


গত সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার পরই তদন্তকারীদের সামনে হাজিরার জন্য সমন করা হয়েছে ট্রাম্পকে। ফলে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত নথিপত্র জমা করতে হবে তাঁকে। এর পর নভেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হবে শুনানি। ট্রাম্পকে পাঠানো সমনে বলা হয়, ‘আপনার প্রাক্ত কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। প্রমাণ মিলেছে যে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ২০২০-র নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতে চেয়েছিলেন’।


উল্লেখ্য, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন ট্রাম্প। এর পর হোয়াইট হাউস ছাড়তে কয়েক দিন বাকি থাকতে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন ট্রাম্প। তাতে সমর্থকদের জান লড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান তিনি। এর পরই ক্য়াপিটল হিলে তাণ্ডব চালান ট্রাম্প সমর্থকরা। তার জেরে অপসারিত হন ট্রাম্প। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দেশের ৬০টি আদালত ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে তাকা কর্মী ও উপদেষ্টাদের তরফেও সেই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবেই ট্রাম্প অশান্তিতে ইন্ধন জুগিয়ে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: Imran Khan: কমিশনে তথ্য গোপন! বহুমূল্য উপহার হস্তগত! পাক-নির্বাচনে নিষিদ্ধ ইমরান


ট্রাম্পকে পাঠানো সমনে আরও বলা হয়, ‘‘সংক্ষেপে বলা যায়, আপনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ড যিনি নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর রোখার চেষ্টা করেন। আপনার জন্যই ক্যাপিটল এবং কংগ্রেসের উপর ভয়ঙ্কর হামলা নেমে আসে’’। ট্রাম্পের আইনজীবী ডেভিড ওয়ারিংটন জানিয়েছেন, তাঁরা সমনটি পর্যালোচনা করে দেখছেন। সঠিক সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস, তবে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানানো হয়েছে।


তিনিই অশান্তিতে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ


সশরীরে অথবা ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্প তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে সমনে। সে ক্ষেত্রে বন্ধ দরজার পিছনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। প্রশ্নোত্তর পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। হাজির থাকবেন একজন সাক্ষীও। ক্যাপিটলে হিংসার ঘটনায় ট্রাম্পের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননকে ইতিমধ্যেই চার মাসের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। জরিমানাও করা হয়। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ছিল।