প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার নতুন অভিযোগ! ফের জড়াল তেহট্টের (Tehatta) তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার নাম। এবার অভিযোগকারী তাঁরই দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য! দুর্নীতি দমন শাখা ও তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। প্রকাশ্যে এসেছে ২টি অডিও ক্লিপ। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক সব অভিযোগই খারিজ করেছেন।
তেহট্টের তৃণমূল সদস্য অভিযোগকারী ইউসুফ আলি শেখ জানিয়েছেন, ''আমি আর আমার মিসেস, ছেলের ডকুমেন্টস জেরক্স করে, অ্যাডমিট কার্ডটা জেরক্স করে নিয়ে এসে, ২ লক্ষ টাকা সহ একদম আমার মিসেস তাপস সাহার হাতে দিলাম, তারপর ২-৪ দিন পরে আমাকে একটা মেরিট লিস্ট ধরে...আমার সঙ্গে কনট্যাক্ট হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকার।''
অর্থের বিনিময়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণার অভিযোগে আগেই নাম জড়িয়েছিল নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। টাকার বিনিময়ে চাকরির নামে প্রতারণার নতুন এক অভিযোগে তাঁর নাম জড়াল!
চাঞ্চল্যকর বিষয়, এবার নিজের দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ করেছেন নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য!
তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। তেহট্টের শ্যামনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য ইউসুফ আলি শেখের দাবি, ছেলের চাকরির ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে বিধায়ক তাপস সাহা ও তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রদীপ কয়ালের কথোপকথন হয়েছিল। সেই অডিও রেকর্ডিং তিনি জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখায়।
সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে ২৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রবীরের সঙ্গেও চাকরির ব্যাপারে কথা হয়েছিল বলে দাবি করে ইউসুফ আরও একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন!
ইউসুফ আলি শেখ আরও জানিয়েছেন, ''আমি জমি বেচে, স্ত্রীর গয়না বেচে, সব পয়সা নিয়ে এসে, ওকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে গেলাম, যে মেরিট লিস্টটা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছে, সেটা ভুয়ো। পয়সা নেওয়ার পরেও অস্বীকার করছে, আমি কারও পয়সা নিইনি, কিছুই না।''
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।