কোচি: ভারতের আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে খবর, ভারতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেরিতে হলেও প্রবেশ করল অবশেষে। স্বাভাবিকের চেয়ে এক সপ্তাহ পরে কেরলে ঢুকে পড়ল বহু প্রতীক্ষীত বর্ষা। কেরলে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আগেই। এবার অফিসিয়ালি বর্ষা শুরু হল ভারত ভূখণ্ডে।
আবহবিদদের একাংশের মতে, ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়' (Cyclone 'Biparjoy') বর্ষার বৃষ্টিকে প্রভাবিত করবে। অপেক্ষাকৃত হালকা বৃষ্টি হবে শুরুতে। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে, আইএমডি জানায়, "দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু, বৃহস্পতিবার ৮ জুন কেরলে প্রবেশ করেছে।"
সাধারণত ১ জুন কেরলে প্রবেশ করে বর্ষা। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে, আইএমডি পূর্বাভাসে জানায়, ৪ জুনের মধ্যে কেরলে বর্ষা আসতে পারে। স্কাইমেটের তরফে ৭ জুন কেরলে বর্ষা শুরুর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। গত দেড়শ বছরে, কেরলে বর্ষা শুরু হওয়ার তারিখে বড় হেরফের হয়েছে। ১৯১৮ সালের ১১ মে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বিলম্বিত বর্ষা ছিল ১৯৭২ সালের ১৮ জুন !
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গত বছর ২৯ মে প্রবেশ করে ভারতের মূল ভূখণ্ডে। ২০২১ সালের ৩ জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। ২০২০ সালের ১ জুন বর্ষা ঢোকে। ২০১৯ সালের 8 জুন এবং ২০১৮ সালের ২৯ মে দক্ষিণ-রাজ্যে পৌঁছয় বর্ষা। গবেষণা বলছে, কেরলে বর্ষা শুরুতে দেরি হওয়ার অর্থ উত্তর-পশ্চিম ভারতে বর্ষা শুরুতে বিলম্ব বোঝায় না।
বঙ্গে আবহাওয়ার জ্বালা জারি
দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে। রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ থাকবে।
উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এর কিছু অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি রয়েছে। শিলিগুড়ি, বাগডোগরাতেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে শনিবার পর্যন্ত।