আবির দত্ত, কলকাতা: কলকাতা থেকে যে ২ জন আইএস জঙ্গি ধরা পড়েছিল। তাদের জেরা করে মিলল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই দুজনের কাছ থেকে ডায়েরি উদ্ধার হয়েছিল। সেখান থেকেই মিলেছে তথ্য। 


আইএসের হয়ে শপথ:
সূত্রের খবর, আইএসের হয়ে শপথ নিয়েছিল ধৃত ২ জঙ্গি। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত ২ জন, সৈয়দ ও সাদ্দামের ডায়েরিতে শপথবাক্য মিলেছে।


ভিনরাজ্যে খোঁজ?
দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ধাওয়া করে টিকিয়াপাড়ায় গ্রেফতার করা হয় ২ সন্দেহভাজনকে। এই দুজন জঙ্গি সন্দেহভাজনকে ধরার পরেই আরও এক আইএস-লিঙ্কম্যানের খোঁজে ভিনরাজ্যে গেল এসটিএফ।


সক্রিয় এনআইএ:
২ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি ধরা পড়ার পরেই সক্রিয় এনআইএ (NIA)। কী উদ্দেশ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, জানতে লাগাতার জেরা চলছে। লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে NIA, ধৃত ২ জনকেও জেরা করল এনআইএ। ধৃতদের নেপথ্যে আরও কারা? মডিউলের জাল কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে? 
ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে এনআইএ।


কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস বলেন, 'ISIS-এর যে পরিকল্পনা, তাতে ভারতে নাশকতা চালানো এবং ভারতে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। STF যে এদের ধরেছে এটা সাধুবাদ জানানোর মতো। এরা যেভাবে কাজ করে তাতে এরা যে খুব বড় চাঁই ধরিয়ে দিতে পারবে এমন না। ছোট ছোট মডিউলে কাজ হয়। তবে এদের থেকে ভাল করে কথা বের করতে হবে। বহু তথ্য় জানা সম্ভব। ২ জন যে ধরা পড়ল, এটাও মানতে হবে যে ২০০ জন আরও রয়েছে যারা ধরা পড়ছে না। তাই আরও সতর্ক হতে হবে।' অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পৃথ্বীরঞ্জন দাস বলেন, 'এদের উপর নজরদারি রাখতে গিয়ে অনেকসময় নানা বিড়ম্বনায় পড়েছি। সেক্ষেত্রে এসটিএফ যে দুজনকে ধরল, তার জন্য এসটিএফকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে আমাদের ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক দুর্বল। রাজ্যের প্রশাসন ততটা গা লাগায় না।' জঙ্গি কার্যকলাপ রোখার জন্য সারা দেশে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার চালুর জন্য সওয়াল করেছেন তিনি। এই কাজের জন্য পুরো পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পৃথ্বীরঞ্জন দাস বলেন, 'এক্ষেত্রে পুরো পেশাদারিত্ব নিয়ে সারা দেশে ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টার যদি চালু হয়, তাহলে এদের মতো লোকজনকে দ্রুত ধরা যাবে।'


আরও পড়ুন: 'যাদের পাকা বাড়ি, তারা পাচ্ছে, যাদের মাথায় ছাদ নেই, তারা পাচ্ছে না,' বিস্ফোরক দেব