দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুরে ওড়না দিয়ে ৭ বছরের শিশুপুত্রকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। পরিচারিকার তৎপরতায় বাঁচল শিশু। ঘটনা জানাজানির পরই আবাসনের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ অভিযুক্ত মহিলার। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। নরেন্দ্রপুর থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


যে ওড়না দিয়ে বিপদ থেকে বাঁচাতেন,  সেই ওড়নার ফাঁসেই শিশুপুত্রকে খুন করার চেষ্টা মায়ের! সময় মতো পরিচারিকা এসে পড়ায় প্রাণ বাঁচল একরত্তির। জানাজানি হতেই চারতলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন মা।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের মহামায়াতলায়। এলাকার একটি বহুতলের চারতলায় ৭ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে থাকেন এক দম্পতি। তাঁদের পরিচারিকার দাবি, শুক্রবার সকালে কাজ করতে এসে দেখতে পান, ওড়ানার ফাঁস দিয়ে শিশুপুত্রকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছেন গৃহকর্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই শিশুপুত্রকে রক্ষা করেন, এবং প্রতিবেশীদের খবর দেন। 


ঘটনা জানাজানি হতেই চারতলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সুস্থ আছে তাঁর শিশুপুত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করেন শিশুর বাবা। তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তদন্তকারীদের। 


দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শিশু খুন: কিছুদিন আগে পারিবারিক অশান্তিতে প্রাণ গিয়েছে একরত্তির। পারিবারিক বিবাদের জেরে সাত বছরের ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধেই। শুধু তাই নয়, সন্তানকে খুন করে বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীকেও অভিযুক্ত ফোন করেন বলে অভিযোগ। এসে সন্তানকে কবর দিয়ে যেতে ডাকেন বলে দাবি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


স্নেহের সন্তানের মৃত্যুতে কান্না থামছে না মায়ের। আর মা বলে ডাকবে না যে কোলের সন্তান! পারিবারিক বিবাদে নিজের সাত বছরের ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল বাবারই বিরুদ্ধে। সেখানেই শেষ নয়, ছেলেকে খুনের পর অভিযুক্ত বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ফোন করে খুনের কথা নিজেই জানান বলেও দাবি সামনে এসেছে। 


পরিবার সূত্রে খবর, সন্তানকে খুন করে বিবাহবিচ্ছিন্না ফোন করেন ওই ব্যক্তি। বলেন, "একেবারে শেষ করে দিয়েছি। এসে কবর দিয়ে যাও।" এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থির নাজরা এলাকা।


নিহত শিশুর আত্মীয়, কোহিনুর বিব বলেন, "মাস কয়েক আগে তালাক হয়ে যায়। তার পর আমার কাছেই থাকত। রফিক ফোন করে বলে, তোর ছেলেকে খুন করেছি। এসে কবর দিয়ে যা।" ওই শিশুর মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে পার্ক সার্কাস স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।