কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ময়নার (Moyna) বাগচায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে আজ দিনভর উত্তাল হল ময়না। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কাল ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 


স্ত্রী ও ছেলের সামনেই বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপরহণ করে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ময়নার বাকচায়। 


এদিন এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে লক্ষ্মী ভূঁইয়া এবিপি আনন্দকে বলেন, 'আমাদের নদীর পাড়ে একটা বাড়ি আছে, সেখানে আমি আর আমার স্বামী গিয়েছিলাম। তারপর ঘরে আসার জন্য বাঁধে উঠছিলাম। সেইখানেই ধরে নিয়েছিল। কাঠ দিয়ে, রড দিয়ে কী মার মেরেছিল। বন্দুক নিয়ে , ছুরি নিয়ে খুব মার মেরেছিল। আমি পায়ে ধরে কেঁদেছি তাও ছাড়েনি। তৃণমূলের লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পে পুলিশের পায়ে ধরে কেঁদেছি। পুলিশ বলে আমাদের থানা থেকে কোনও অর্ডার নেই। এখন যেতে পারব না।'  


সাক্ষাৎকার দিতে দিতে কান্নায় ধরে এসেছিল গলা। তবে স্বামীর এই মৃত্যুর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কি না, এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীদেবী বলেন, 'উনি বিজেপি করতেন। আমরা রাজনৈতিক চক্রান্তেরই শিকার হয়েছি'। 


আরও পড়ুন, বিছানায় ফোন রেখে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনার সমান! আশঙ্কা প্রকাশ গবেষকদের


মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি, বাকচার গোরামহল গ্রামে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে পুরনো বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অভিযোগ, তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের ৩০-৩৫ জনের বাইক বাহিনী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় মারধর। বিজয়কৃষ্ণকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন স্ত্রী, অভিযোগ, সেইসময় স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করে বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


অভিযোগ, তাঁকে খোঁজাখুজির মধ্যেই সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও রাতের দিকে বাড়ির কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে বিজেপি নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানা।  মৃতদেহের মুখে ও মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।