নয়া দিল্লি : মঙ্গলবার থেকেই মুকুল রায়কে ( Mukul Roy ) নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি ( West Bengal Politics ) । প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুলের ভাইরাল ভিডিও ( Viral Video ) । তারপর ছেলে শুভ্রাংশুর সাংবাদিক বৈঠক। তারপর দিল্লিতে মুকুলের মুখ খোলা। পরপর ঘটনায় তুলকালাম বঙ্গ রাজনীতিতে। তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে মুকুলের ? মুকুলের ডেস্টিনেশন কি বিজেপি ? তাহলে তৃণমূলে ফিরেছিলেন কেন ? এই প্রশ্নগুলো যখন রাজনীতির অন্দরমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে, তখনই এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় বিস্ফোরক মুকুল রায়। বললেন, 'তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সময় মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না'।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, 'এখন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ আছি।' TMC তে প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গে মুকুল বললেন, 'কয়েক ঘণ্টার জন্য একটা ঘটনা ঘটেছিল। আত্মীয় বিয়োগে মানসিক চাপে ছিলাম'। সেই সঙ্গে প্রত্যয়ী কণ্ঠেই বললেন, 'বিজেপিতে ছিলাম, বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকব। তৃণমূল আর সেই জায়গায় নেই'। মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল ভবনে গিয়ে যে যোগদান করলেন, সেটা কী হবে? তাতে তিনি বলেন, ' একটু সময়ের জন্য ঘটনা হয়েছিল, আমি সেই সময় কয়েক ঘণ্টার জন্যে...যাই হোক...দেখ, স্ত্রী তারপরে নিকট আত্মীয় বিয়োগ হলে যেমন একটা মানুষ স্থৈর্য হারিয়ে ফেলি, সেই সময়ের জন্য এটা হয়েছিল, এখন আর সেই জায়গা নেই। আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি, থাকব। '
'পঞ্চায়েত ভোটে পরিবর্তন চাইব'
এখানেই থেমে থাকেননি। বাংলার শাসকদলের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক নেতা। বললেন , 'তৃণমূল যে কাজকর্ম করছে তা বাংলার পক্ষে ভাল নয়। একাধিক নেতা জেলে আছেন, এর খেসারত দিতে হবে'। সেই সঙ্গে বললেন, 'যে দুর্নীতি করেছে, তাঁকেই দায় নিতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে পরিবর্তন চাইব। বাংলায় অসহনীয় অবস্থা, পরিবর্তন চাইছি' দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে মন্তব্য কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের।
'অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার হাতে সুরক্ষিত বিজেপি'
তিনি আরও বলেন, 'অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে শাহ বা জেপি নাড্ডা কারুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার হাতে সুরক্ষিত বিজেপি। ' দিল্লিতে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য মুকুল রায়ের।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই এককালে তৃণমূলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতার মন্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফাইট দেবে বিজেপি। সেইসঙ্গে সব জল্পনা উড়িয়ে তিনি বললেন, স্বেচ্ছায় দিল্লিতে গিয়েছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।