কলকাতা: ‘মুকুল রায় (Mukul Roy) এখনও বিজেপিতেই (BJP) আছেন, তিনি দলবদল করেননি’। বিধানসভার অধ্যক্ষের (West Bengal Assembly Speaker) ঘরে শুনানিতে (Hearing) দাবি মুকুল রায়ের আইনজীবীর। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদনের মামলার শুনানিতে এ কথা জানান তাঁর আইনজীবী। এ ব্যাপারে বিজেপির আইনজীবী জানিয়েছেন, আইনগতভাবে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। এ ব্যাপারে  আগামী ৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।

Continues below advertisement

উল্লেখ্য, বিজেপি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্য়াগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আর্জি জানিয়ে অধ্যক্ষর কাছে আর্জি জানিয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরইমধ্যে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অম্বিকা রায়।

Continues below advertisement

শুক্রবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের আইনজীবীরা অধ্যক্ষের কাছে একটি পিটিশন জমা দেন। সূত্রের খবর, পিটিশনে দাবি করা হয়েছে,মুকুল রায় বিজেপিতে আছেন। কখনও তৃণমূলে যাননি। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। মাথার ঠিক ছিল না। সেই সময় তিনি হয়তো কোনও কর্মসূচিতে গিয়েছেন। তবে সবটাই ছিল সৌজন্যমূলক। তিনি কোনও দল বদল করেননি।

২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে, গত ১১ জুন, তৃণমূল ভবনে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।সেদিন তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই প্রেক্ষিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাতে দাবি করা হয়,মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক।টানাপোড়েনের জল গড়ায় আদালত অবধি। এরই মধ্যে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন মুকুল রায়। তারও বিরোধিতা করে বিজেপি।শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবীরা যে পিটিশন জমা দেন, তাতে দাবি করা হয়,মুকুল রায় বিজেপিতে আছেন। কখনও তৃণমূলে যাননি।

অধ্যক্ষের উপস্থিতিতেই এই বয়ানের বিরোধিতা করেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবীরা।