দীপক ঘোষ, কলকাতা: তৃণমূল (tmc) নাকি বিজেপি (bjp)? কোন দলে রয়েছেন মুকুল রায় (mukul roy)? বিতর্ক কমার আগেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্য়ান (PAC) পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কৃষ্ণনগরের বিধায়ক। সূত্রের খবর, ই-মেলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মুকুল।
কেন পদত্যাগ?
হঠাৎ ইস্তফা (resign) কেন? প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তবে যতটুকু শোনা যাচ্ছে, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই পিএসি-র চেয়ারম্য়ান পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকুল। ই-মেলেও সে কথা লিখেছেন, বলছে সূত্র।
প্রথা অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের পিএসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বিরোধী দলের কারও হাতে থাকে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে আসা মুকুলকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ফলপ্রকাশের অল্প পরেই। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে ফের পুরনো দলে ফিরেছেন কৃষ্ণনগরের বিধায়ক, অভিযোগ করে বিজেপি। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে সরব হয় বিজেপি। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আর্জি খারিজ করে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপি রাজ্য় নেতারা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলে আদালত। কিন্তু দ্বিতীয় বারও একই রায় বহাল রেখে বিধানসভার স্পিকার জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁর বিধায়ক পদও খারিজ হচ্ছে না। বিজেপি মানেনি। উচ্চতর আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
সরগরম রাজ্য রাজনীতি
এর মধ্য়েই পিএসি চেয়ারম্য়ানের পদ থেকে এই ইস্তফার সিদ্ধান্তে নতুন সমীকরণ টের পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, 'উনি কী কারণে ইস্তফা দিয়েছেন, জানা নেই। তবে ওঁর নিয়োগই অগণতান্ত্রিক ছিল।' সিপিএমের সমালোচনার তির অবশ্য় স্পিকারের দিকে। বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বললেন, 'স্পিকারকে জিজ্ঞাসা করুন, ওঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ হল।'
পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, 'নৈতিকতা নিয়ে বিরোধীদের কিছু বলা উচিত নয়। আর স্পিকার যা করেছেন তা তাঁর এক্তিয়ারে ছিল। এখন কারও কিছু অসুবিধা হলে দেখতে হবে।'
সব মিলিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন:'ধান ফিরিয়ে দিলে এফআইআর করুন', কৃষকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর