সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : অঙ্কের শিক্ষক থেকে এক্কেবারে দুর্নীতির জটিল অঙ্কে। এবার, 'গোপাল ( উদজোত অোতোজোূগ ) স্যারের কোচিং'-এর হদিশ পেল এবিপি আনন্দ। দমদম ক্যান্টনমেন্টের ১৯ নম্বর পোস্ট অফিস রোড। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৪-২০০৫ সালে  একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোচিং শুরু করেন গোপাল দলপতি।



দমদম ক্যান্টনমেন্টে ১৯ নম্বর পোস্ট অফিস রোড। এখানেই ভাড়া থাকতেন গোপাল।  জানা যাচ্ছে, এলাকায় তিনি আগেই একটি অন্য কোচিং সেন্টারে অঙ্ক করাতেন, তাঁর যথেষ্ট নামডাক ছিল, পরবর্তীকালে তিনি নিজে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ও কোচিং করাতেন। মূলত পড়াতেন, সায়েন্স ও কমার্সের অঙ্ক করাতেন।

স্থানীয়দের দাবি, একটা সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ'খানেক ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়তে আসত গোপাল স্যরের কোচিং-এ। প্রতিবেশীর দাবি, গোপাল স্যারের কোচিং বলে নাম-ডাক ছিল বেশ। স্থানীয়দের দাবি, গোপাল দলপতি একসময় ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়েন। সন্দেহ হওয়ায় উঠে যেতে বলেন বাড়িওয়ালা। ভেঙে যায় 'গোপাল স্যরের কোচিং'!

আরও পড়ুন :


অর্পিতার পর হৈমন্তী, নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রে দুই নারী , দুজনের কী মিল ! দেখুন



বাড়িওয়ালা মৃণাল দাশগুপ্তর দাবি, তাঁর কাছে ৫০ হাজার চেয়েছিলেন গোপাল।   পরে পাওয়ানাদাররা আসতে লাগল, অনেক অভিভাবক এসে টাকা চাইত। বিয়ে হল, তা নিয়ে অনেক গোলমাল হল, আমরা মিটিয়ে দিলাম, পরে শুনেছি ডিভোর্স হয়ে গেছে। পরে বেপাত্তা হয়ে যায়, পরে প্রচুর পুলিশও এসেছিল তাঁর কাছে। বাড়ির ঠিকানা নিয়ে ধার নেন গোপাল ব্যাঙ্ক থেকে। পরে তাঁর কাছে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ফোন আসত।

অন্যদিকে আবার এবিপি আনন্দর ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছেন দলপতির প্রথম স্ত্রীর বাবা। গোপালের প্রাক্তন শ্বশুর তপন রায়চৌধুরীর দাবি, গোপাল ভাল ছিল না। আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করেছিল। গোপালের সঙ্গে এমন কিছু হয়েছিল, যাতে মেয়ে ওকে ছেড়ে চলে আসে। ১৩ বছর আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। গোপালকে মেরেওছিলাম। তিহাড় জেলে বন্দি ছিল কেন জানতে চাওয়ায়, গোপাল জানায়, জেল দেখতে গিয়েছিল। এমনই দাবি করলেন গোপাল দলপতির প্রাক্তন শ্বশুর। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে চেনেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন।                                                

সেই গোপালকে ঘিরেই এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য়! কোথায় তিনি? কোন দলপতির হাত তাঁর মাথায় ছিল? আসল সেই দলপতি অবধি কি পৌঁছতে পারবে ইডি-সিবিআই?