সন্দীপ সমাদ্দার ও রাজীব চৌধুরী: শিক্ষক সঙ্কট (Teacher Crisis) মেটাতে বাঘমুণ্ডির (Baghmundi) একাধিক স্কুলে যোগ দিলেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রাইমারির শিক্ষক (Primary Teacher) হয়ে, হাইস্কুলে পড়াতে অসুবিধা হবে না তো? অন্যদিকে শিক্ষকের সঙ্কট মেটাতে আজ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল SFI।


শিক্ষক ‘সঙ্কট’, উঠছে একাধিক প্রশ্ন


রাজ্য সরকারের উত্‍শ্রী পোর্টালের মধ্যে দিয়ে পরপর বদলির জেরে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে তৈরি হয়েছিল শিক্ষক সঙ্কট! ইতিমধ্যেই প্রশাসনের উদ্যোগে ৬টি স্কুলে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার বাঘমুণ্ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়-সহ স্কুলগুলিতে তাঁরা প্রত্যেকেই কাজে যোগ দিলেন। তবে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অথচ তাঁদের পাঠানো হয়েছে হাইস্কুলে! 


এরপরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয়ে, হাইস্কুলে পড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না তো? যদিও এমন সম্ভাবনা মানতে নারাজ যোগদানকারী এক শিক্ষিকা। প্রাথমিক স্কুল থেকে হাইস্কুলে যোগদানকারী শিক্ষিকা জুহি আসমিনের অবশ্য দাবি, 'আমার উচ্চশিক্ষা আছে। কোনও অসুবিধা হবে না। আমি ক্লাস এইট, নাইন, টেন পড়াব।'


সমস্যা এখানেই শেষ নয়। বাঘমুণ্ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। কিন্তু স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ৬ থেকে ৭ জন। বাঘমুণ্ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রূপা রায়ের কথাতেও উঠে এল স্কুলে শিক্ষকের সঙ্কট প্রসঙ্গ। অন্যদিকে বাঘমুণ্ডির স্কুলে যোগদান করেন ১০ শিক্ষক। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি কোথায়? প্রশ্ন কংগ্রেসের। জবাব দিয়েছে তৃণমূলের। 


আরও পড়ুন: Electrocuted Death: রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু, তবুও নজরে পড়ছে অসচেতনতার ছবি


অনেকটা একই ছবি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার চৈৎপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। এই স্কুলে প্রায় ২০০ পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক মাত্র ১ জন। চৈৎপুর জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষক সৈকত পাল বলেন, 'একার পক্ষে সম্ভব হয় না। ছাত্ররাও বঞ্চিত হচ্ছে।'


এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে এদিন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার চৈৎপুর জুনিয়র হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। মুর্শিদাবাদের এসএফআই জেলা সম্পাদক শাহনওয়াজ ইসলাম বলেন, 'শিক্ষকদের তুলে নিয়ে স্কুল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চাইছে ওরা।' অন্যদিকে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার অভিযোগ, 'বিরধীরা সব কেস করে নিয়োগ আটকে দিয়েছে।' শিক্ষক সঙ্কট মেটানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।