কলকাতা: বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জের। মালগাড়িতে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার ট্রেনলাইনচ্য়ুত হয়ে উল্টে গেল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু যাত্রী। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। বাতিল একাধিক ট্রেন।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাতিল করা হয়েছে
শালিমার-পুরী এক্সপ্রেস (সাপ্তাহিক)
শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস
হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস
হাওড়া-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস
হাওড়া-আমেদাবাদ এক্সপ্রেস
হাওড়া-চেন্নাই মেল
শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস
শনিবার বাতিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
শনিবার বাতিল হাওড়া-ফলকনামা এক্সপ্রেস
রুট পরিবর্তন করা হয়েছে
চেন্নাই সেন্ট্রাল-হাওড়া যাবে জারোলি হয়ে
ভাস্কোদাগামা-শালিমার যাবে কটক, শালাগাঁও, আঙ্গুল হয়ে
সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার কটক, শালাগাঁও, আঙ্গুল হয়ে
সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এক্সপ্রেস
শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস
হাওড়া-মহীশূর এক্সপ্রেস
বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা: সাঁইথিয়াকাণ্ডের স্মৃতি ফিরল বালেশ্বরে। ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বহু মানুষ। মালগাড়িতে সজোরে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের এই ছবিগুলোই বলে দেয়, ধাক্কার অভিঘাত কতটা মারাত্মক ছিল।সংঘর্ষের তীব্রতায় মালগাড়ির বগির ওপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বেশিরভাগ কামরা লাইনচ্য়ুত হয়। খেলনার মতো উল্টে পাল্টে যায় কামরাগুলো। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে। মালগাড়িটি শান্টিংয়ের সময় বেলাইন হয়ে যায়। প্রচণ্ড গতিতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস গিয়ে ধাক্কা মারে সেই মালগাড়িটিতে। ধাক্কার চোটে দুমড়ে মুচড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরাগুলি। ভেঙে বেরিয়ে আসে লোহার সিঁড়ি। কামরার ভিতরের অংশ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য: ঘটনায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য। পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাম্বুলেন্স সহ একাধিক সাহায্যের কথা জানালেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন মুখ্যসচিব জানান, "মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন এবং আরও কয়েকজন আধিকারিক ইতিমধ্যেই বালাসোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অ্যাম্বুল্যান্স রওনা হয়েছে। ওই এলাকার যাবতীয় মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি এরাজ্যের মেডিক্যাল কলেজকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।'' স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, উদ্ধারকাজে আর যা যা সাহায্য লাগবে তা করা হবে বলে ওড়িশা সরকারকে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে।