অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: আজ শিয়ালদা মেইন শাখায় (Sealdah Main Line) বাতিল করা হয়েছে আপ ও ডাউন লাইনের বহু ট্রেন। যার মধ্যে রয়েছে বেশকয়েকটি নৈহাটি (Naihati), রানাঘাট (Ranaghat), কল্যাণী (Kalyani) সীমান্ত, শান্তিপুর (Shantipur), কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকাল। বাতিল করা হয়েছে বেশকয়েকটি নৈহাটি-ব্যান্ডেল লোকালও। নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশনের মধ্যে থার্ড লাইন ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার কাজ চলছে। সেই কারণে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন। গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের।


কোপ মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ওপরেও: কল্যাণী থেকে নৈহাটি স্টেশনের মধ্যে হচ্ছে থার্ড লাইন তৈরি ও স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থার কাজ। তার জেরে আজ শিয়ালদা মেন লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু আপ ও ডাউন লোকাল ট্রেন। কোপ পড়েছে মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ওপরেও। চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ শেষ হলে ট্রেনের যেমন গতি বাড়বে। তেমনি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো সম্ভব হবে। 


উইকএন্ডের সকাল থেকে শুরু হল দুর্ভোগ! বাতিল বহু ট্রেন, সমস্যায় যাত্রীরা। কল্যাণী থেকে নৈহাটি স্টেশনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে তৃতীয় লাইন। কাজ হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থার। যার জেরে শিয়ালদা মেন লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার বাতিল করা হয়েছে শিয়ালদা মেন লাইনের কয়েকটি আপ ও ডাউন রানাঘাট, নৈহাটি, কল্যাণী সীমান্ত, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বর্ধমান, কাটোয়া, ব্যাণ্ডেল ও শান্তিপুর লোকাল। 


চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা: যার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। শুধু লোকাল ট্রেন নয়, কোপ পড়েছে মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও। বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব রেল জানিয়েছে, শনিবার বাতিল করা হয়েছে আপ ও ডাউন আসানসোল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-সিউড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-জঙ্গিপুর রোড এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস।এছাড়া ঘুরপথে চলবে ৬জোড়া মেল ও এক্সপ্রেস। কাজ চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ শেষ হলে ট্রেনের যেমন গতি বাড়বে। তেমনি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো সম্ভব হবে। 


উল্লেখ্য, এর আগে দোলের জন্যও হাওড়া, শিয়ালদায় কম লোকাল ট্রেন চলেছে। দোলের জন্য শিয়ালদা ডিভিশনে ২৩৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। সাধারণ দিনে শিয়ালদা ডিভিশনে চলে ৮৮৮টি লোকাল ট্রেন। হাওড়া ডিভিশনে রবিবারের সূচি মেনে চলেছে লোকাল ট্রেন।  এতে কিছুটা যাত্রী ভোগান্তি বাড়ে। 


প্রতিদিন হাওড়া স্টেশন থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। স্টেশন থেকে প্রায় ২৫০ জোড়া লোকাল (Local Train) এবং ২৫২টি দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন (Express Train) যাতায়াত করে। আর এই বিপুল সংখ্যক ট্রেন চালাতে কার্যত হিমশিম খায় রেল কর্তৃপক্ষ।