পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : বিতর্কের মধ্যেই দলের হয়ে পুরপ্রচারে নামলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) নীলাদ্রি শেখর দানা। চপ ভাজা ও পুরভোটের মুখে পুরসভার কাজ নিয়ে প্রতিপক্ষের প্রশংসা, দুই বিতর্কের পর আবার দলের হয়ে মাঠে নামতে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ককে।


শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলে চপ ভেজেছিলেন। সোমবার বাঁকুড়া পুরসভায় ফুল-মিষ্টি নিয়ে গিয়ে, ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূলের প্রশাসক মণ্ডলীর। বুধবার সেই বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানাকে দেখা গেল, দেওয়ালে দলের প্রতীক আঁকছেন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, পুরভোটের প্রচারও সারলেন তিনি!


আরও পড়ুন ; নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি, রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে মেমারিতে প্রচার তৃণমূলের


বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতি নিয়োগের পর, গত মাসেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বাঁকুড়ার ৪ বিজেপি বিধায়ক। তাঁর মধ্যে ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। 


সূত্রের দাবি, জেলার ২ সাংগঠনিক সভাপতিকে নিয়ে আপত্তি জানিয়ে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দেন তিনি। বাঁকুড়ায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এই টানাপোড়েনের আবহে, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে বিধায়ককে নিজের দলের হয়ে মাঠে নামতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়। সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বে যে রদবদলের পর থেকে বাঁকুড়ার বিজেপি সভাপতি বেসুরো বাজছিলেন, তিনিই এবার দলের সাংগঠনিক কাঠামোর পক্ষে সওয়াল করলেন! 


নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, আমাদের এখানে ঠিক হচ্ছে, দলে যার যে রকম ধার ও ভার সেই অনুযায়ী জায়গা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দলের নির্দেশই আছে, সব কা সাথ সব কা বিকাশ। সবাইকে নিয়ে চলায় জোর দেওয়া হয়েছে। সেটাই আমাদের নীতি।


এনিয়ে তালডাংরার বিধায়ক ও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ওরা যতই কমিটি করুক, কিছুই হবে না। আমরা উন্নয়নেই ভোট করব। রাস্তা হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে। বাঁকুড়ার মানুষ জানে। বিজেপির কমিটি ঘর ঢুকে যাবে।


গত বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক ফলের নিরিখে ২৪ ওয়ার্ডের বাঁকুড়া পুরসভার ১৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। এবার কী হবে? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।