কমলকৃষ্ণ দে, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) : ভাতারে (Bhatar) সিপিএম কর্মীদের (CPIM Workers) মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুই সিপিএম কর্মী জখম হয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। তাঁদের চিকিৎসার জন্য গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাতারের সাহেবগঞ্জের বিগরা এলাকার ঘটনা।
সিপিএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির (Purba Burdwan District Committee) সদস্য বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bamacharan Banerjee) জানান, গণ আন্দোলনের স্বার্থে ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সিপিএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে গণ অর্থ সংগ্রহ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে বুধবার ভাতারের সাহেবগঞ্জ (Bhatar Sahebgunj) বিগরা এলাকায় পার্টির কর্মী-সমর্থকরা অর্থ সংগ্রহ করছিলেন।
সেই সময়ই লাঠি, টাঙি নিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ তাঁর। হামলায় ভাতার ব্লক খেতমজুর সংগঠনের সম্পাদক রাস হাজরা ও আরও একজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়ুন ; ঘরজামাই হতে অস্বীকার, শ্বশুরের প্রাণনাশের হুমকি থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা, দাবি পরিবারের
এমনকী গ্রামে সিপিএমের কোনও কর্মসূচি করা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক (Bhatar TMC MLA) মানগোবিন্দ অধিকারীর দাবি (Mangovinda Adhikari's Claim), যদি মারধর হয়ে থাকে সেটা অন্যায়। ঘটনাটি নিয়ে খোঁজ নেব। তৃণমূলের সাথে ঘটনার কোনও যোগ নেই।
এদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র (Purba Burdwan District TMC Spokesperson) প্রসেনজিৎ দাসের (Prasenjit Das) বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। প্রচারের আলোয় আসতেই সিপিএম মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সিপিএমের উচিত, পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া।