ইসলামপুর : তৃণমূলের পুর-প্রার্থী তালিকা নিয়ে ইসলামপুরে (Islampur) অসন্তোষ। প্রকাশ্যে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ও জেলা সভাপতির কাজিয়া। "আমার দেওয়া ৮ জনের মধ্যে ৫ জনেরই নাম বাদ।" নেপথ্যে জেলা সভাপতির হাত বলে অভিযোগ আব্দুল করিম চৌধুরীর। যদিও জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া, ‘সংগঠন বিরোধী কথা বিধায়কের, দলকে জানিয়েছি।’
আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, "নেত্রীর কাছে এই খবর আছে কি না জানি না। কিন্তু, ষড়যন্ত্র চলছে, আব্দুল করিম চৌধুরীকে ইসলামপুর থেকে মুছে দিতে হবে। সমস্ত পঞ্চায়েত ধরে রেখে দিয়েছে, এখন ইসলামপুর পুরসভাটাও ধরতে চাইছে। আমার দেওয়া ৮ জনের মধ্যে ৫ জনেরই নাম বাদ। এই ওয়ার্ডগুলি থেকে যদি নির্দল দাঁড়ায়, সেই নির্দল প্রার্থীকে আমি সমর্থন দেব। সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতি আমার সমর্থন থাকবে না।"
আরও পড়ুন ; দেওয়াল লিখন মুছে ফ্লেক্স টাঙানো হল নতুন তৃণমূল প্রার্থীর নামে, চাপানউতোর ব্যারাকপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে
এপ্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, "এটা দলবিরোধী কথা। এভাবে হয় না যে, দল যাকে প্রার্থী করবে, তাঁর বিরুদ্ধে নির্দলকে সমর্থন দেওয়া সাজে না। দলকে জানিয়েছি। দল এ ব্যাপারটা দেখবে।"
প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই বিক্ষোভের আবহে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সুব্রত বক্সী-পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে তালিকা দিয়েছেন, সেটাই চূড়ান্ত"।
এই একই দিনে সাংবাদিক বৈঠকে প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, 'প্রার্থী তালিকা নিয়ে যেখানে সমস্যা ছিল, সেগুলিও ঠিক করে গতকাল পাঠানো হয়েছে। এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে আর ক্ষোভ থাকা উচিত নয়'।
প্রসঙ্গত, টিকিট না মেলায় এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কাজি মানোয়ারা বেগম। মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন জমা দেন। এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা কাজি আতিবর রহমান। তাঁর দাবি, টিকিটের বিনিময়ে পিকের টিমের এক সদস্য ৫ লক্ষ টাকা চান। তা দিতে না পারায় দলের কয়েকজন মিলে টিকিট দেয়নি। এই অভিযোগ আমি দলের সর্বস্তরে পাঠিয়েও কোনও সুরাহা পাইনি।