রাজীব চৌধুরী ও সুদীপ্ত আচার্য: হুঁশিয়ারির পরেও দলে গোঁজ হিসেবে বহাল থাকায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ৬টি পুরসভায় ১৮ জন নির্দলকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বারুইপুর ও রাজপুর-সোনারপুর পুরভার ৫ নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। দল কড়া ব্যবস্থা নিলেও ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন বহিষ্কৃতরা।
জেলায় জেলায় কড়া হাতে নির্দল বিদ্রোহ দমন। পুরভোটের যখন আর এক সপ্তাহও বাকি নেই, তার মধ্যেই ঘাসফুলের বাগান থেকে গোঁজ কাঁটা তুলে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে। নবাবের জেলায় শাসকদল থেকে বিদ্রোহীদের বহিষ্কার। মুর্শিদাবাদের ৬টি পুরসভায় একাধিক বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। প্রথমে আলোচনা, তার পর হুঁশিয়ারি। তাতেও কাজ না হওয়ায় পুরভোটে দলের নির্দল-কাঁটা মোকাবিলায় বহিষ্কার পর্ব শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। বহরমপুর বাদ দিয়ে ৬ টি পুরসভাতেই টিকিট না পাওয়া তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।দলের হুঁশিয়ারি এবং ডেডলাইন সত্ত্বেও ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে যাঁরা সরলেন না, তৃণমূল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হল। মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার ৪টি পুরসভার ১৮ জন নির্দলকে সোমবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৮ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান। কান্দি পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌতম রায় গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কান্দি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত জানুয়ারিতে ভুল স্বীকার করে আবার তৃণমূলে ফেরেন তিনি। পুরভোটে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে শাস্তির মুখে পড়লেন। কান্দি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী গৌতম রায় বলেন, “আমি তো ভুল স্বীকার করেই ফিরেছিলাম। আবার শাস্তির খাঁড়া নেমে এল। দুঃখজনক ব্যাপার। ভোটে লড়ছি।’’ রবিবার রাতে জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার ১০ জন নির্দল প্রার্থী ও তাঁদের কয়েকজনের স্বামী সহ মোট ১৭ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তৃণমূলে এদিনও বহিষ্কার পর্ব চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় ৪ জন এবং বারুইপুর পুরসভার এক নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অরূপ বিশ্বাস বলেন, “অনুরোধ করা হয়েছিল দলের তরফে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। তা করেননি। তাই রাজপুর-সোনারপুরের ৪ জন এবং বারুইপুরের একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আর নির্দল সমস্যা রইল না।’’