সোমনাথ দাস, অমিতাভ রথ, রঞ্জিত হালদার: চন্দ্রকোণায় বিজেপি প্রার্থীকে মারধর। সোনারপুরে সিপিএমের প্রচারমঞ্চে ভাঙচুর। ঝাড়গ্রামে বিজেপি ও বাম প্রার্থীর দলীয় পতাকা নষ্ট করে দেওয়া। শতাধিক পুরসভায় ভোটের মুখে জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিরোধীদের দুষেছে শাসক শিবির।
কোথাও বিরোধী দলের প্রার্থীদের মারধর। কোথাও বিরোধীদের প্রচারমঞ্চ ভেঙে দেওয়া। কোথাও আবার বিরোধীদের ফ্লেক্স, পতাকা ছিঁড়ে ফেলা। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে অভিযোগের পাহাড় ততই যেন উঁচু হচ্ছে!
পশ্চিমাঞ্চলের ঝাড়গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা। নানা জেলার নানা প্রান্ত থেকে মিলেছে অশান্তির খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডেরই যুব তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীদের একাংশের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন ওই যুব তৃণমূল নেতা।
চন্দ্রকোণা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অতনু সাঁতরা জানিয়েছেন, ''পতাকা বাঁধছিলাম। যুব তৃণমূলের অর্ধেন্দু ঘোষ ও তার লোকজন কিল চড় ঘুষি মারে।'' সেই ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি অর্ধেন্দুল ঘোষ জানান, বিজেপির লোকজনই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ঝাড়গ্রামে শুধুমাত্র একটা পুরসভায় ভোট, কিন্তু সেখানেও যেন অশান্তির বিরাম নেই। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দনেশ্বর সেনগুপ্ত ও সিপিআই প্রার্থী প্রতীক মৈত্রর প্রচারে লাগানো দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছে ওই ওয়ার্ডেরই নির্দল প্রার্থী গায়ত্রী ঘোষের দেওয়াল লিখন।
প্রতিটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহা পাড়াতে সিপিএমের নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএম প্রার্থী। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।