প্রকাশ সিনহা, সল্টলেক:  বিধাননগরে  পুরনির্বাচনের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত এবিপি আনন্দ। বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮৭ এবং ১৮৮ নম্বর বুথে সকাল থেকেই বহিরাগতদের আনাগোনা এবং ছাপ্পা ভোটের খবর আসে। দুপুর ২টা নাগাদ এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি সেখানে গিয়ে হাতেনাতে একজন ভুযো ভোটারকের ধরেও ফেলেন। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার কয়েকজন বহিরাগতকে চিহ্নিত করার পরই প্রায় ২০-২৫জন মিলে ঘিরে ধরে এবিপি আনন্দের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। ধস্তা-ধস্তির সময় হাত মুচড়ে, মুখি ঘুঁষিও মারা হয়। 


এদিকে, ফের বিধাননগরে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ উঠল। বিসি ব্লকে ভুয়ো ভোটের অভিযোগ তোলায় বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের বিরুদ্ধে। হোম গার্ডের লাঠি কেড়ে নিয়ে পাল্টা শাসানি বিজেপির মহিলা প্রার্থীর। পরে তৃণমূল প্রার্থী এসে বের করে নিয়ে যান বিজেপি প্রার্থীকে। 


অন্যদিকে, দিনভর একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার চলে। ভোট চলাকালীন মুখোমুখি হলেও কথা সামান্য সৌজন্যটুকুও দেখালেন না বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত ও দেবাশিস জানা। এদিন সল্টলেক অ্যাসোসিয়েশনের বুথে দুই প্রার্থীর দেখা হলেও কথা হল না। এরপর AE ব্লকে ভগবতী স্কুলের বাইরে একটি বাড়ির সিঁড়িতে বসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী।ওই বাড়িতে হাঁক দিয়ে চেয়ার নিয়ে সেখানে বসে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁকে দেখে উঠে যান বিজেপি প্রার্থী। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ওই বুথে ভোট দিতে আসেন বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোট দিয়ে বেরোনোর সময় জয়প্রকাশকে জড়িয়ে ধরেন সব্যসাচী। দু’ পা এগোতেই দেখা বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে। তাঁকেও জড়িয়ে ধরেন জয়প্রকাশ। 


প্রসঙ্গত, বিধাননগরে ভোট হচ্ছে ৪১টি ওয়ার্ডে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা বিধানগর পুর-এলাকাকে ৪৮টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ। এরই মধ্যে গতকাল লেকটাউন থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।