প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীল ও তাঁর সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনা হল চার্জশিটে। সেখানে দাবি, পুরসভায় নিয়োগের প্রশ্নপত্র তৈরি অয়ন শীলদেরই। অর্থাৎ তাঁর সংস্থার। বাজার থেকে কেনা কমপিটিটিভ এক্সাম কিম্বা জেনারেল নলেজের বই ঘেঁটেই তৈরি করা হত প্রশ্নপত্র । পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্য়কর দাবি করল CBI.
সূত্রের খবর, চার্জশিটের ১৯ নম্বর পাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে, জেরায় অয়ন শীল এসব অভিযোগ নাকি শিকারই করে নিয়েছেন। অয়ন নাকি স্বীকার করেছেন, পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করত তাঁর সংস্থা এবিএস ইনফোজোন। চার্জশিটে CBI দাবি করছে, কোয়েশ্চন পেপার সেটের জন্য কোনও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাহায্য় নেওয়া হয়নি। বাজার থেকে কেনা হত সাধারণ জ্ঞানের বই, কিম্বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার বই। সেই বই ঘেঁটেই তৈরি করা হত প্রশ্ন ও উত্তরপত্র। সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস, এবিএস ইনফোজোনেই তৈরি হত কোয়েশ্চেন পেপার।
CBI সূত্রে দাবি, একই দাবি করেছেন, অয়ন শীলের সংস্থার দুই কর্মী রানা দাস ও সৌরভ নন্দী। এই রানা ও সৌরভ নাকি সিবিআইয়ের কাছে দাবি করছে, অয়ন শীল অফিসে নিয়ে আসত জেনারেল নলেজের বই। কমপিটিটিভ এক্সামের বই। সেই বই থেকেই প্রশ্ন করা হত। একাধিক পুরসভায় যে প্রশ্নপত্র তরি করা হত, তা অয়ন শীলের এবিএস ইনফোজোনের অফিসে বসেই তৈরি হত। পুরনিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে, চার্জশিটে CBI দাবি করেছে, এক নয়, দুই নয়, রাজ্যের ১৭টি পুরসভায় ২০১৪-র পর থেকে অর্ধেকের বেশি নিয়োগই বেআইনি!
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ, সল্টলেকে প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে
আচমকা সামনে এসে পড়ে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। উদ্ধার হয় একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত লিস্ট। তাঁর সল্টলেকের অফিসকে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলে উল্লেখ করে ইডি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যে ১৭টি পুরসভায় নিয়োগে কারচুপি হয়েছে।
আরও খবর :