কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipal Recruitment Scam) চাঞ্চল্যকর দাবি করল সিবিআই (CBI)। ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের দাবি, ৫টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথিই পাওয়া যায়নি। কেউ জানিয়েছে ফাইল হারিয়েছে, কেউ বলেছে নথি রাখাই হয়নি, দাবি সিবিআইয়ের (CBI)। ওই ৫টি পুরসভাকে এবার নোটিস পাঠাচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ২০১৪-র পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। বাকি পুরসভাগুলি থেকে মেলা নথি সামনে রেখে পুর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা সিবিআইয়ের।


পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এরই মধ্যে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ED-র রিপোর্ট দেখে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকেও। এই মামলাতেই রাজ্য সরকারের ভূমিকারও ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।


পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অমৃতা সিন্হা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, রিপোর্টে নতুন কী আছে? যা যা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলো আগেই হয়েছে। তদন্তের গতি এত শ্লথ কেন? যা পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সেগুলো সব আমার নির্দেশনামাতেই আছে। তাহলে আর মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে লাভ কী? এটা একেবারেই সন্তোষজনক নয়।    


ইডির তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, মূল তদন্ত সিবিআই করছে। ফলে তার ওপর নির্ভর করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ইডি মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করলেও, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে।  বিচারপতি সিন্হা প্রশ্ন করেন, একবার বলছেন রিপোর্ট তৈরি। এরপর এখন বদলাতে চাইছেন? এরপরই বিচারপতি তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেছিলেন,  সিবিআই ও ইডি - দুই এজেন্সিকেই মুখবন্ধ খামে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।                                


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারি আইনজীবী জানান, সর্বোচ্চ আদালত থেকে সেই মামলা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সব শুনে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, একবার সুপ্রিম কোর্টে SLP করছিলেন। আবার সেটা প্রত্যাহার করেছিলেন। এটা কী হচ্ছে? আইনজীবীরা কি বিনা পয়সায় মামলা করেছিলেন? কাদের টাকায় এই মামলা? রাজ্যের এই আচরণ প্রত্যাশিত নয়।