কলকাতা: সাঁতার কাটলে শরীরের অনেক রোগ সেরে যায়। আপনি একঘেয়েমির জীবন থেকেও বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।  সুইমিংপুলের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এবিপি লাইভকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন রুবী হাসপাতালের চিকিৎসক কুমারদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


 সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? 


সাঁতারে নামলে আমাদের শরীরের একাধিক রোগ সেরে যায়। দৈনিক সাঁতারে নামলে ভবিষ্যতে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। স্বাভাবিক থাকে রক্তচাপও। একইসঙ্গে কমবে কোলেস্টেরল।  সাঁতারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ফুসফুসের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।অপরদিকে, সাঁতারে নামলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমে আসে। হাঁটু ব্যাথা,পায়ের ব্যাথা কমে যায়। তবে সবার উপরে যেটা, সাঁতারে নামলে মন ভাল থাকে। স্ট্রেস কমে যায়। পাশাপাশি যাদের ঘুমের সমস্যা থাকে, সহজে ঘুম আসে না, সাঁতারে নামলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 


কোনগুলি খেয়ালে রাখবেন ?


আপনি যদি পুকুর বা নদীতে সাঁতারে নামেন, সেক্ষেত্রে খুবই ভাল। কিন্তু সুইমিংপুলে নামলে কত বিষয় মাথায় রাখতে হবে।মূলত সুইমিংপুলে সাঁতার কাটলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। কারণ সুইমিংপুলে জলে ক্লোরিন নামক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়। আর এ থেকে অনেকেরই ত্বকে সমস্যা তৈরি করতে পারে। চোখেও প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ছাদ দেওয়া সুইমিং পুল এড়িয়ে যাওয়া ভাল। কারণ খোলা সুইমিং পুল হলে রাসায়নিক গ্যাস বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ছাদ দেওয়া থাকলে সেই সুবিধা থাকে না। 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


সুইমিংপুলে নামার আগে ও পরের নিয়ম


সুইমিংপুলে নামার ক্ষেত্রে আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত চান করে নামা, এবং সুইমিং থেকে উঠে আবার শাওয়ার নেওয়া উচিত। এতে ত্বকের ক্ষতি অনেকাংশেই কম হয়। তবে সুইমিং পুলে নেমে ত্বকে সমস্যা বেশি তৈরি হলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি আরও কতগুলি বিষয়ে নজর রাখা উচিত। তা হল সুইমিং পুলে নামলে অবশ্যই চোখে ওয়াটার গ্লাস পরবেন এবং মাথায় টুপি পরবেন। কারণ এক্ষেত্রে আপনার চোখ ভাল থাকবে। মাথায় টুপি পরে শাওয়ার নিয়ে সুইমিংপুলে নামা সবথেকে ভাল হবে। জলে নেমে অবশ্যই বাবলস্ বেশি করে নিয়ে ফের সুইমিং করুন। এই বিষয়গুলি মেনে চললেই শরীর ও মন অনেকাংশে ভাল থাকবে।



চিকিৎসক কুমারদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়