কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipal Recruitment Scam) এদিন তলব করা হয়েছিল কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন গোপাল সাহা। তারপর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা। তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে, যদিও সাড়ে ৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরেও, এখনও বরানগরের পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিককে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ।


গত ৫ অক্টোবর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে ১৩ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে গোপাল সাহাকে (Gopal Saha)। গতমাসের শুরুতেও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে, একাধিক পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। ব্যারাকপুর পুরসভায় (Barackpore Municipality) নোটিস পাঠিয়েছিল CBI।  পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ-সহ (Food Minister Rathin Ghosh) একাধিক পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছিল CBI। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে  কামারহাটি, পানিহাটি, বরানগর, টিটাগড়, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর-সহ বেশ কিছু পুরসভার নাম থাকলেও ব্যারাকপুর পুরসভার নাম প্রথমে ছিল না। আর তারপর সেই ব্যারাকপুর পুরসভাকেও নোটিস পাঠিয়েছিল CBI।


পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ? নাকি অন্য কোনও মামলায় ? পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক পুরসভায় তল্লাশির আবহে, ব্যারাকপুর পুরসভাকে CBI-এর নোটিস ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল তরজা। পুর চেয়ারম্যান উত্তম দাসের দাবি ছিল, ২০১০ থেকে এই পুরসভায় কোনও সংস্থা মারফত কোনও নিয়োগ হয়নি। প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে কিছুদিন আগেই দাবি করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত তারা দেড় হাজারের বেশি নাম পেয়েছে। যাঁরা অবৈধভাবে পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে, ১৯ মার্চ ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকেও গ্রেফতার করেছিল ED।


আরও পড়ুন, 'অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?', প্রশ্ন শশী পাঁজার


অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোনের সল্টলেকের অফিস থেকে, পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তখনই সামনে আসে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি, পুর নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চালাচ্ছে ED ও CBI। ইতিমধ্যে একাধিক পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছে CBI। অয়ন শীলের অফিসকে আদালতে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলে উল্লেখ করেছে ED।  তাঁর অফিস থেকে যে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গেছিল, তার সঙ্গে এই দেড় হাজারের বেশি তালিকার নাম মিলিয়ে দেখা হবে বলে ED সূত্রে খবর। আগামী দিনে তাঁদের তলব করা হবে।