কলকাতা: অবৈধ সম্পত্তি কার ? এই প্রশ্ন সবার। প্রায় সব রাজনৈতিক দলও একে অপরের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছেন। কখনও শুভেন্দুর প্রশ্নের মুখে জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি। ফোনে সেই ছবি দিয়ে, ট্যুইটে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরছেন। তার পরক্ষণেই দেখা গিয়েছে ময়দানে নেমেছেন কুণাল ঘোষ। তোপ দেগেছেন শুভেন্দুকে। নাম না করেই আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা ফের গর্জে ওঠেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সপ্তাহের প্রথমে ফের রাজনৈতিক রিলে রেসে এবার আক্রমণ করলেন শশী পাঁজা। শুধু শুভেন্দুই নয়, শশী পাঁজার প্রশ্নের কাঠগড়ায় পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে  হিমন্ত বিশ্বশর্মা।


এদিন শশী পাঁজা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে চলেছে। কিন্তু তার কোনও ফল সামনে আসছে না। পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত কেন হয় না? কাঁথির অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?, গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে' বলে অভিযোগ তাঁর। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বলেন, 'কারও কারও ৬০, ৭০, ৮০টা নানা লোকে নানা বলে ট্রলার আছে। কত বেনামি বাড়ি আছে, কত পেট্রোল পাম্প আছে, কত কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বড় বড় কথা বলে কী করে? আমরাও কাগজপত্র বের করছি, এতদিন করিনি। আমরা কি দেখতে গেছি হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন আগে, মন্ত্রী থাকাকালীন, কোনটা, কোন জমিটা কত টাকায় বিক্রি করেছেন ? দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বানিয়ে দিলাম ভাল কাজ করার জন্য, কত জমি দিয়েছে? ৬০০ হোটেল তৈরি হয়েছে। আমরা একবারও জানতে গেছি? জানিনি।'


পাল্টা জবাবে শুভেন্দু সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে বলেছিলেন, 'আপনার ভাইপো আপনার পরিবারে ইনকাম ট্যাক্সে কিছু দেখানো নেই। পেট্রোল পাম্প কটা সব বৈধ। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের পেট্রোল পাম্প। ইনকাম ট্যাক্স দেখে নেবেন। '২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হলফনামা দেখে নেবেন, আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া, আধিকারী পরিবার আপনার মতো ওই রকম কালীঘাটের নালার পাশে লোকের জায়গা জবরদখল করে বড়লোক হয়নি।'


আরও পড়ুন, অব্যহত বিশ্বভারতী বিতর্ক, ফলক সরানোর দাবিতে TMC-র পর এবার বামেরাও


বিশেষ করে জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর মেজাজ সপ্তমে শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের একাংশের। তাই এবার আর ধীরে সুস্থে নয়, একেবারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের যাবতীয় কারচুপি প্রকাশ্যে আনবেন বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে চুপ বসে নেই বিজেপিও। কুণাল ঘোষের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় ? পাল্টা প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।