কলকাতা: প্রায় ১২ ঘণ্টা ইডি-তল্লাশির তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে। ইডি আধিকারিকরা বেরোনোর পর তাপস রায় সাফ জানিয়ে দিলেন পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব তৃণমূল বিধায়ক।
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত: সন্দেশখালির ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় ফের অ্যাকশনে ইডি। ভোরের আলো ফুটতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ত্রিফলা অভিযান। মন্ত্রী, বিধায়ক ও কাউন্সিলর, একযোগে তিন হেভিওয়েটের ঠিকানায় হানা। এদিন সাত সকালে মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিন জায়গায় সকাল থেকে চলে তল্লাশি-অভিযান।
কী বললেন তাপস রায়?
পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে ৬.৪০ নাগাদ হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ১০৫ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢোকার পর, সিঁড়ি দিয়ে উঠে সোজা ওপরে তাপস রায়ের ঘরে চলে যান ইডি-র আধিকারিকরা। বউবাজারের যে আবাসনে তাপস রায় থাকেন, সেখানে বাড়ির নীচেই রয়েছে তাঁর একটি অফিস। তৃণমূল বিধায়কের সেই অফিসেও এদিন তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এদিন তাপস রায় বলেন, 'পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে আমি কখনও ছিলাম না। রাজনীতি করি বলেই হয়তো আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার মোবাইল ফোন ও বাড়ি থেকে কিছু কাগজ নিয়ে গিয়েছে ইডি। কারও সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক নেই। কাজ চেয়ে অনেকে বাড়িতে এসেছিল, সেই ধরনের কিছু কাগজ নিয়ে গিয়েছে। আমি রাজনীতিতে না থাকলে এটা হওয়ার কথা নয়।'
ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ৬০টির মতো পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের নথি মিলেছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বরানগর পুরসভা। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পুরসভায় গিয়ে তল্লাশিও চালায় ইডি। তৃণমূল পরিচালিত বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিককেও অতীতে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি অফিসাররা। প্রেক্ষাপটে ইডি সূত্রে দাবি, বরানগর পুরসভায় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে প্রচুর নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় সব নিয়োগই হয়েছিল সুপারিশের ভিত্তিতে। তবে সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও হয়েছিল মোটা টাকার লেনদেন। সেই সুপারিশই বা কোন প্রভাবশালী পাঠিয়েছিলেন আর নিয়োগের জন্য যে মোটা টাকা নেওয়া হত, সেই টাকাই বা কোথায় গেল, এখন সেটাই খুঁজে বের করতে চাইছেন ইডির অফিসাররা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Law Career: আইন নিয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন? কোন পথে সাফল্য? রইল খুঁটিনাটি