সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Corruption Case) মামলা থেকে অব্যাহতি নিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench Recuses)। বিচারপতিরা জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) দুর্নীতি নিয়ে মূল মামলা ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়, জানালেন বিচারপতিরা। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা ফেরত গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। 


প্রেক্ষাপট...
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা হওয়ায় এই বেঞ্চেই শুনানির আবেদন জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতিরা জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, এবং মূল মামলা ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই এই বেঞ্চের। তাই এই মামলা এই বেঞ্চের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। এই কারণেই, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা ফেরত গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। স্কুলে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রকাশ্য়ে আসে, পুরসভার নিয়োগেও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ, হুগলির প্রোমোটার, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক।




 



গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রয়োজনে নতুন FIR দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এরপরই, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট।হালিশহর, বীরনগর থেকে বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি থেকে কামারহাটি, উত্তর দমদম থেকে দক্ষিণ দমদম, দমদম, ডায়মন্ড হারবার থেকে নিউ ব্যারাকপুর--অভিযোগ, যে ৬০টি পুরসভায় ৫ হাজার চাকরি বিক্রির মিডলম্যান ছিলেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল, তার মধ্যে রয়েছে এই পুরসভাগুলিও। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে এরপর আদালতের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে সব মহল। 


চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ...
অন্য দিকে, এদিনই আবার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে’, অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।


 


আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো