পার্থপ্রতিম ঘোষ, পূর্ব মেদিনীপুর: এগরায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Incident) ল অভিযুক্ত ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের ২ জনের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের (Explosive Act) ৯ নম্বর ধারা যুক্ত করল সিআইডি (CID)।


কী হয়েছিল?
এর আগে, ভানু বাগ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত খুন, পুলিশের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করা, বিস্ফোরক পদার্থের ব্যাপারে অবহেলামূলক আচরণ ও ফায়ার সার্ভিস অ্য়াক্টের ২৪ ও ২৬ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে তুমুল প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসন। NIA তদন্ত এড়াতেই কি এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল, জল্পনা শুরু হয়। এদিকে গতকালই, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বিস্মিত হয়ে, প্রধান বিচারপতি মন্তব্য় করেন, 'হে ভগবান, এত ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ! বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। CID খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মতো তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কিনা।' সূত্রের খবর, গত কাল দুপুরেই খুন, খুনের চেষ্টা এবং বিস্ফোরক আইনের ৯ নম্বর ধারা যুক্ত করার আবেদন জানায় সিআইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কাঁথি আদালত।


মাধ্যমিকের ফল এবিপি আনন্দ-এ 
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পাশে এবিপি আনন্দ। ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে।বেলা ১২ টা থকে ফল জানা যাবে এবিপি আনন্দর ওয়েবসাইট- http://bengali.abplive.com -এ। তার জন্য দিতে হবে জন্ম তারিখ ও রোল নম্বর।



মৃত্যু ভানু বাগের...
এদিকে এদিনই এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন ভানু। কটকের হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন ভানু বাগ।  গত কালই এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওরফে ভানু বাগ। ওড়িশা থেকে তিনি, তাঁর ছেলে ও ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়। কটকের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি।  বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়েছিলেন ভানু। মঙ্গলবার এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ দিন পরেও খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু তাঁর স্ত্রী ও ছেলের। ওড়িশা এবং সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বত্র তল্লাশি চালাচতে থাকে পুলিশ। আহত অবস্থায় কাউকে দেখা গেছে কি না জানতে, ভানুর ছবিও দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, রীতিমতো পেশাদারি কায়দায় সপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছেন ভানু বাগ। ধরা পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলেই বন্ধ করে দেন মোবাইল ফোন। ফলে বাজিগর ভানুর হদিশ পেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। 


আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো