রাজীব চৌধুরী, কলকাতা: তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বাধা। দলের পদ পেতে গেলে মোটা টাকা চাঁদা দেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জেলার তৃণমূল (TMC) কর্মীদের একাংশ। 


কী অভিযোগ:
বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে যেতে বারণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ব্লক সভাপতি হতে গেলে পার্টি ফান্ডে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য মুর্শিদ নওয়াজ বলেন, 'আমার ভাই আবু তাহের খানের কাছে পাঠান। রানিনগর দুইয়ের সভাপতি বদল হবে, পরে ওনার ভাগ্নে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে আমাকে ৫০ লক্ষ টাকা, পার্টি ফান্ডে দিতে হবে বলে জানান।' ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই তৃণমূল সদস্য জুলফিকার আলি মণ্ডল বলেন, 'ওখানে সৌমিক হোসেন ভোটে দাঁড়াচ্ছে, তাঁকে হারানোর জন্য জোটের হয়ে ভোট করতে হবে। কে বলেছিলেন? আমাদের সাংসদ আবু তাহের খানের নির্দেশ।' বছর ঘুরলেই যেখানে পঞ্চায়েত ভোট, সেখানে এভাবেই মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, তৃণমূল পরিচালিত রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের একাংশ। রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, 'আমি অলরেডি ভোটের দিনই বলেছিলাম, যে আমাদের সাংসদ, তখন জেলা সভাপতি ছিলেন, উনি সৌমিককে হারানোর চেষ্টা করছেন।'


অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিই বাকি নেতাদের বাধ্য করেছেন তাঁদের নামে সমালোচনা করতে। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, 'মুর্শিদ নওয়াজ ও জুলফিকার আলি মণ্ডল, শাহ আমলের ভয়ে ২ বছর ধরে এলাকা ছাড়া। ওরা মুচলেকা দিয়ে ফিরেছে। তাই ওদের এই কথা বলানো হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।' বিধায়ক সৌমিক হোসেন এবং সাংসদ আবু তাহের খান, দু’জনই একসময় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। 


কংগ্রেসের কটাক্ষ:
গোটা ঘটনায় কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'তৃণমূলের মধ্যে সাকার্স চলছে, কে কখন কোন দিকে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, জোকাররা দৌড়াদৌড়ি করছে।'


আরও পড়ুন: দ্বন্দ্ব কাটাবে কে? সেই প্রশ্নেও দ্বন্দ্বের সুর কোচবিহারে