পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: অমরনাথ-দর্শনে (amarnath darshan) গিয়ে আটকে (Stuck) পড়েছেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (kolkata leather complex) থানা এলাকার ৮০ জন। দলে রয়েছেন পুলিশকর্মী (police) প্রবীর কর্মকার। ফোনে তাঁদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা ফিরে না আসছেন, চিন্তায় পরিবার।


অমরনাথে আটকে যাঁরা...


গত ১ জুলাই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার তাকদহের বাসিন্দা ওই পুলিশকর্মী-সহ ৮০ জনের একটি দল অমরনাথের দিকে রওনা দেন। কিন্তু দর্শনের আগেই বিপত্তি। আটক পুণ্যার্থীদের পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন হড়পা বানে অমরনাথ মন্দির ও কালীমাতার মাঝামাঝি এলাকা কার্যত ধুয়েমুছে যায় তখনও অনেকেরই সেই খবর জানতেন না। সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ সেখানে আটকে পড়া পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁদের। তখনই বিপর্যয়ের কথা জানতে পারেন। সেই থেকে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের তাকদহ এলাকার একাধিক পরিবার। দলটির অনেক সদস্যই ঘটনার সময় অমরনাথ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পঞ্চতরণীতে ছিলেন। ফলে বিপর্যয়ের ভয়াবহতা স্বচক্ষে দেখেননি, কিন্তু শুনেছেন। তবে ১০-১৫ জন এগিয়ে গিয়েছিলেন। সম্ভবত তাঁদের চোখে বিধ্বংসী হড়পা বানের পুরো পর্ব ধরা পড়েছে, ধারণা তাকদহে অপেক্ষারত প্রিয়জনদের। সকলে অক্ষত না ফেরা পর্যন্ত তাই কিছুতেই স্বস্তি নেই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে।


কী পরিস্থিতি এখন?


তাকদহের ৮০ জনের দল এই মুহূর্তে আটকে থাকলেও বেশিরভাগই জানিয়েছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁবুর মধ্যে দিন কাটছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ ঠিকই, হেলিকপ্টারে উদ্ধারকাজও চলছে। তবে কোনও আশু বিপদ নেই। পরিজনদেরও আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। কিন্তু ঘরের লোকজন ঘরে না ফেরা পর্যন্ত শান্তি নেই। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন আটকে পড়া পুণ্য়ার্থীরাও। 


আরও পড়ুন:চালু হবে মেট্রোর নয়া রুট, চাই প্রচুর রেক ! তাই এবার এই সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ