রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : বহরমপুর থানায় (baharampore police station) বিস্ফোরণ। এক পুলিশ  (police) কর্মী-সহ জখম ৩। পুলিশ সূত্রে খবর, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ থানার দোতলায় মালখানার বাইরে মজুত মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ হয়। আহত হন এক এসআই, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন ভিলেজ পুলিশ। আহত পুলিশকর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ হয়েই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।


আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারের দুপুরে কর্মব্যস্ত ছিল বহরমপুর থানা। দৈন্দদিন কাজকর্মের মাঝেই হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে চমকে ওঠেন সকলে। বেলা ১২ টা নাগাদ থানার দোতলায় বিস্ফোরণ ঘটে। আহত পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিন্তু মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি থেকে কীভাবে এই বিস্ফোৎম তা খতিয়ে দেখতে মুর্শিদাবাদ থানার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা বহরমপুর থানায় গিয়ে পৌঁছেছেন। গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন জেলার সিআইডি কর্তারাও। ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা তদন্ত করে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গতকালই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল পশ্চিম মেদিনূপুরে। বোমার বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় বাড়ির ছাদ। পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) দাঁতনের ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আহত হন এক গ্রামবাসী। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়।


বাঁশ আর পলিথিন দিয়ে ঘেরা ঘরটা কার্যত আর নেই, উড়ে যায় বোমায়। ক্ষতি হয়েছে আশপাশের ঘর-বাড়িরও। ভেঙে গিয়েছে অ্যাসবেস্টসের চাল। ভেঙে গিয়েছে জানলা-দরজা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে।ছে এলাকায়। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। 


আরও পড়ুন- 'পুরভোটে সন্ত্রাসের জন্য বোমা তৈরি', তৃণমূল প্রধানের নাম রেখে খেজুরি বিস্ফোরণের চার্জশিট এনআইএ-র