অনির্বাণ বাগচি, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad News) কান্দি থেকে সাঁটুই, প্রায় ১৯ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির দাবিতে মিছিলে হাঁটলেন, অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। প্রয়োজনে, সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেব, মন্তব্য করেন বহরমপুরের সাংসদ। এনিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল।


পাকা রাস্তার দাবিতে দীর্ঘ পথ হাঁটলেন অধীর


পথের দাবিতেই পথে নামলেন অধীর। কখনও মেঠো পথ ধরে, কখনও গ্রামের মধ্যে দিয়ে, মুর্শিদাবাদের কান্দি (Kandi News) থেকে সাঁটুই, প্রায় ১৯ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির দাবিতে পথে নামলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর। 


প্রয়োজনে রাস্তা তৈরিতে তিনি নিজের সাংসদ তহবিল টাকা দিতে পারেন বলেও জানালেন অধীর। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীরের কথায়, "সদিচ্ছার অভাব। ১০ বছর হয়ে গেল, কেন রাস্তা তৈরি হচ্ছে না। দরকার হলে আমি আড়াই কোটি টাকা দেব।"


উল্লেখ্য, ২০১২-'১৩ অর্থবর্ষে, কান্দি মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৪৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন তত্‍কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে কুঁয়ে, বাবলা ও দ্বারকা নদীর উপর তৈরি হয় তিনটি সেতু। এই তিনটি সেতুর সংযোগকারী রাস্তার অবস্থা ভয়ঙ্কর। 


আরও পড়ুন: SSC Scam: ধরা পড়লে কী করে বাঁচতে হবে, পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন পার্থ! আদালতে দাবি গোয়েন্দাদের


স্থানীয়দের দাবি, কান্দি থেকে সাঁটুই-এর মাঝে, এই মেঠো পথে একটু বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা হয়ে যায়। খারাপ রাস্তায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পাকা রাস্তা না থাকার কারণে, কান্দির বাসিন্দাদের হয় ২৫ কিলোমিটার দূরে সালারে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। নয়ত বা প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরের সাঁইথিয়া স্টেশনে।


এই রাস্তা পাকা হয়ে গেলে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে, সাঁপুইয়ে গিয়ে ট্রেন ধরতে পারবেন বাসিন্দারা। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে, এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন হবে। তা নিয়ে অধীর বলেন, " লোকজন জমি কিনে রেডি করে রেখেছে। কিন্তু রাস্তার জন্য এগোচ্ছে না। ট্রেনের অংশটা একটু দিও।"


প্রয়োজনে নিজের সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার কথা জানালেন অধীর


এ নিয়ে যদিও অধীরকে একহাত নিয়েছেন কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, "রাজনৈতিক শেয়ালরা ভোটের সময় আসে। অধীর চৌধুরিও ঠিক সেটাই করেছেন। মমতার সরকার সাড়ে ৮ কোটিটাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করেছেন, সেখানে হাঁটতে শুরু করেছন। হয়তো ওঁর সুগার হয়েছে।" তবে রাস্তা নিয়ে আকচা-আকচি শুরু হলেও, কবে পথের হাল ফিরবে, সেদিকেই তাকিয়ে, স্থানীয় বাসিন্দারা।