রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: ফের অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। বাগুইআটি, ইলামবাজারের পর এ বার বহরমপুর (Berhampore News)। বুধবার সন্ধেয় এক যুবককে অপহরণ (Kidnapping) করে পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ  (Ransom)চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর বাইপাসের ধার থেকে ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় (Dead Body Found)। পুলিশের অনুমান, যুবককে খুন করে, তার পরই মুক্তিপণ চায় দুষ্কৃতীরা। পরিবারের সন্দেহ, পুলিশে খবর দিয়েছিলেন বলেি তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। 


বহরমপুরে যুবককে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ


নিহত যুবকের নাম বাপ্পা মণ্ডল। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধেয় ফোন করে বাপ্পাকে বাড়ির বাইরে ডাকে কেউ বা কারা। সন্ধে সওয়া ৭টা নাগাদ সেই মতো বেরোন বাপ্পা। তার পর সাড়ে ১০টা নাগাদ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাড়িতে। পুলিশেক খবর দিতে বারণ করেছিল অপহরণকারীরা। কিন্তু পুলিশ-এবং প্রশাসনকে জানান তাঁরা বিষয়টি। তাতেই বাপ্পাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের সদস্যদের।


পরিবারের এক সদস্য এবিপি আনন্দকে জানান, অপহরণের তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ফোন আসে। ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। সেই মতো বাপ্পার বাবা টাকা নিয়ে বাড়ি তেকে বেলডাঙার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মাঝপথে অপহরণকারীরা বুঝতে পারে যে, সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের গাড়িও পিছনে রয়েছে। তাতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা। পরে সকালে বাপ্পার দেহ উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়।


আরও পড়ুন: SSC: একাদশ-দ্বাদশে এবার প্রিয়ঙ্কা সাউকে চাকরির নির্দেশ, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে


নিহতের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশকে কেন খবর দেওয়া হয়েছে, ফোনে জানতে চায় অপহরণকারীরা। তার পর নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। টাকা না পেলে বাপ্পাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। এর পর রাত ১২টা নাগাদ ফোন বন্ধ করে দেয় অপহরণকারীরা। আর যোগাযোগ করেনি। তার পরই এ দিন সকালে বাপ্পার দেহ মেলে।মুর্শিদাবাদ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বাপ্পার দেহ। সেখানে ময়নাতদন্ত চলছে তাঁর।


সিসিটিভি ফুটেজে যুবককে বাইকে চেপে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে


বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার মোড়ের মাথায় বসানো সিসিটিভই ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। তাতে বুধবার ৭টা বেজে ১৭ মিনিটে বুলেট মোটর সাইকেলে বসিয়ে বাপ্পাকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ৭টা ২৫ নাগাদ আরও একটি মোটর সাইকেল পাড়ায় ঢোকে বলে ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। তার পর সাড়ে ১০টা নাগাদ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাপ্পার বাড়িতে।