রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে বিজেপিতে ফাটল আরও চওড়া হল। জেলা সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করে ইস্তফা দিলেন দুই বিজেপি নেতা। যদিও বিদ্রোহীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিজেপি জেলা সভাপতি। আর এই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।


ফের মুর্শিদাবাদে প্রকাশ্যে বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার ও জেলা কার্যকরী সমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে দলের জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন পদত্যাগী নেতা।


বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার অভিযোগ, দলে পুরনো নেতা, কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারেও কোনও আলোচনা করা হয়নি বলে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার দাবি। গুরুত্ব রয়েছে বলেই ওই নেতাদের দলীয় পদে রাখা হয়েছে। এমনই প্রতিক্রিয়া বিজেপি জেলা সভাপতির। 


গত সপ্তাহে, জেলা সভাপতির দিকে আঙুল তুলে, রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জে বিজেপির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে।


এই প্রেক্ষাপটে মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পদত্যাগ করলেন, বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার ও জেলা কার্যকরী সমিতির সদস্য তড়িৎ সরকার।


এপ্রিলের শুরুতে গৌরীশঙ্কর ঘোষকে সরিয়ে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় শাখারভ সরকারকে। তারপরই বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। পদত্যাগী নেতারা জেলা রাজনীতিতে বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁদেরই একজনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন বিজেপি জেলা সভাপতি।


তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চরম আকার নিলেও, মচকাচ্ছেন না বিজেপির জেলা সভাপতি। জেলা সভাপতিকে নিয়ে বিজেপিতে তীব্র অসন্তোষ বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলে সোমবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার আগে গেরুয়া শিবিরের কোন্দল আরও তীব্র আকার নিল।