রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বেসরকারি (privet sector) সংস্থায় ট্রেনি নিয়োগের ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর (Berhampore) স্টেডিয়ামে ধুন্ধুমার। ভিড় নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ (police)। উদ্যোক্তাদের দাবি, একসঙ্গে অনেকে চলে আসায় সমস্যা হয়েছে। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। 


ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়ার লাইনে হুড়োহুড়ি। পুলিশের বাধা ঠেলে এগিয়ে গেলেন কর্মপ্রার্থীরা। আর তাতেই ঠেলাঠেলিতে পড়ে গেলেন বেশ কয়েকজন। পাল্টা লাঠি চালাল পুলিশ। যার জেরে শনিবার সকালে ধুন্ধুমার বাঁধল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি সংস্থায় ট্রেনি নিয়োগের জন্য ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়া হচ্ছিল। আর তার জন্য স্টেডিয়াম চত্বরে ভিড় করেন বেশ কয়েক হাজার যুবক।


কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা। ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, একসঙ্গে কয়েক হাজার কর্মপ্রার্থী চলে আসাতেই সমস্যা হয়েছে। ভিন রাজ্যে ট্রেনি পদে নিয়োগের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখা হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস। 


স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে খবর, মূলত বাড়ি নির্মাণ ও রং করার জন্যই নিয়োগ করা হবে। অথচ আবেদনকারীর মধ্যে রয়েছেন রসায়নে মাস্টার ডিগ্রি থেকে শুরু করে DL Ed প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিত যুবকরাও। আর বেকার যুবকদের এই অবস্থা নিয়ে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। কর্মসংস্থান নিয়ে আক্রমণ বিরোধীদের। সব মিলিয়ে ট্রেনি পদে নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ও সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক চাপানউতোরে গোটা পরিস্থিতি সরগরম।


২ দিন আগে, পারিবারিক অশান্তির (Family Chaos) জের। সিঙ্গুরের নান্দায় আত্মীয়ের হাতে খুন দম্পতি (Couple Murder)। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ গিয়ে একই পরিবারের চারজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাঠের ব্যবসায়ী (Buninessman murder) দীনেশ প্যাটেল ও তাঁর স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। দীনেশের ছেলে ও বাবা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। স্থানীয়দের দাবি, এক আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল প্যাটেল পরিবারের। তার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের (Police)। অভিযুক্ত অধরা। 


আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়-সতর্কতায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের