রাজীব চৌধুরী, জঙ্গিপুর: ভোটের (Municipal Election) আগে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভার (Jangipur Municipality) বিরুদ্ধে আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক কাটমানির অভিযোগ ওঠে। পুরভোটের ফল ঘোষণার পর ফের জঙ্গিপুরে ফিরল কাটমানির প্রসঙ্গ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রীতিমতো প্রচার করে নির্দেশ দেওয়া হল, যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা যেন নিজেরাই তা বুঝে নেন। এমনকী, আবাস যোজনার পুরনো তালিকা বাদ দিয়ে নতুন তালিকা তৈরির কথাও বলা হয়।
আগে দলবদলের মাধ্যমে বোর্ড গঠন করলেও, এবার পুরভোটে জিতে জঙ্গিপুর পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। জয়ের পর স্বচ্ছভাবে দুর্নীতিমুক্ত পুরসভার ডাক দিয়েছে শাসক দল।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যাঁরা বাড়ি পাওয়ার উদ্দেশে প্রচুর টাকা কাটমানি দিয়েছেন, আপনার রক্ত-ঘামের বিনিময়ে পরিশ্রমের টাকা যে নিয়েছে, তার কাছে থেকে বুঝে নেবেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে প্রচারিত হল।’
কাটমানি ফেরতের জন্য তৃণমূলের প্রচারের পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর রবিউল ইসলামের বাড়িতে টাকা চাইতে যান কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন কাউন্সিলর।
জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইচ্ছে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতে স্বচ্ছ ভাবে মানুষ পরিষেবা পাবে। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের অবশ্যই দমন করব, কারণ আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করিনি। করব না।’
যদিও কাটমানি প্রশ্নে তৃণমূলের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে সিপিএম। মুর্শিদাবাদের সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেছেন, ‘বিগত পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে কাটমানির প্রশ্নে বারবার অভিযোগ তুলেছি। তখন রাজ্য বা তৃণমূল কংগ্রেস কিছু করেনি। এখন নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এই সদিচ্ছা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের থাকে তাহলে মনে হয় ২১টি ওয়ার্ডেই মাইকে প্রচার করা উচিত।’
সব মিলিয়ে ভোট মিটতে না মিটতেই জঙ্গিপুরে ফের সামনে চলে এল কাটমানি প্রসঙ্গ।