রাজীব চৌধুরী, জঙ্গিপুর: এক সিপিএম কোঅর্ডিনেটরের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে প্রকাশ্যে মতানৈক্য। ‘দলের নেতা-কর্মীদের অন্ধকারে রেখে দুর্নীতিগ্রস্ত বাম কোঅর্ডিনেটরকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে।’ এই অভিযোগ তুলে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলেরই টাউন সভাপতি।


দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কোঅর্ডিনেটরের দাবি, উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁর বদলবল। 


জঙ্গিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কোঅর্ডিনেটর মোজাহারুল ইসলাম গত রবিবার তৃণমূলে যোগ দেন। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি ও এলাকার সাংসদ খলিলুর রহমানের উপস্থিতিতে তৃণমূলের যোগ দেন তিনি। তারপরই সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন টাউন সভাপতি ফিরোজ শেখ। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের অন্ধকারে রেখে যোগদান। তাহলে তো কোনও গুরুত্বই থাকে না। সিপিএম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। জেলা সভাপতি যদি দলের আদর্শ শৃঙ্খলা না মানেন তাহলে বুথ সভাপতি, ওয়ার্ড কমিটি এঁরা কী করে দলের অনুমাশন মানবেন?’


এ বিষয়ে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘ফিরোজ আমাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।’


বিতর্ক সামনে আসতেই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে মোজাহারুল ইসলামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এরাই তৃণমূলে গিয়ে সম্পদ হয়ে যাচ্ছে।’


মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুরজিৎ দাসের খোঁচা, ‘যত দুর্নীতিগ্রস্তদের নিয়ে তৃণমূলের কাজ।’


কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেন মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র। পদ্মশিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন ডোমকলের টাউন বিজেপি সভাপতি অভীক দাসও। এবার জঙ্গিপুর পুরসভার সিপিএম কোঅর্ডিনেটরও তৃণমূলে যোগ দিলেন। পুর নির্বাচনের আগে এই দলবদল নিয়ে সরগরম মুর্শিদাবাদের রাজনীতি। পুর নির্বাচনে দলবদলের কোনও প্রভাব পড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার।