রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধেই! মৃত ভাকুড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের চুমড়িগাছার বাসিন্দা মইনুল শেখ। তাঁর পরিবারের দাবি, আজ বিকেলে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন বন্ধু। এরপর সন্ধের দিকে তাঁর বাড়ির অদূরে একটি ঘর থেকে মইনুলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের দাবি, তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতেরই এক বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, মইনুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার হলেও মেলেনি টাকা ও ফোন। তাহলে কি টাকার জন্যই খুন করা হল এই যুবককে? তদন্তে পুলিশ (Police)।
কিছুদিন আগে বীরভূমের ইলামবাজারে নারকীয় ঘটনা। বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়েছিল। এই ঘটনার পর যত সময় যাচ্ছে, ততই যেন তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। জমছে একের পর এক প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজতে মরিয়া তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃত শেখ সলমনকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে, সলমন দুবরাজপুরের সূচনা মার্কেটের দোকানে তাঁর দুটি মোবাইল ফোন সারাতে দেন। এদিন ধৃতকে সেই দোকানে নিয়ে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটার উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটি যে মোটরবাইক শোরুম থেকে কিনেছিলেন অভিযুক্ত, মঙ্গলবার সেই শোরুমে ধৃতকে নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, খুনের উদ্দেশ্যে ইলামবাজার যাওয়ার আগে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে একটি দোকানে চা খান অভিযুক্ত। সেই দোকানের মালিক শেখ সাজিবুর পুলিশকে জানান, সেদিন সলমন একাই তাঁর দোকানে এসেছিলেন। কী ঘটনা ঘটেছিল? একা কীভাবে এই খুন করেছিলেন শেখ সলমন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে রাজ্য তোলপাড় হয়েছিল বাগুইআটি কাণ্ড নিয়ে। অপহরণের পর ২ ছাত্রকে নৃশংসভাবে খুন, পুলিশের ভূমিকাতেই প্রশ্ন উঠেছে। ২ সপ্তাহ মর্গে পড়ে ২ ছাত্রের দেহ, গাফিলতি ছিল বসিরহাট পুলিশেরও! বাগুইআটি থানার সঙ্গে এবার প্রশ্নের মুখে বসিরহাট পুলিশ জেলা। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার, তাও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের? জলাধারে ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের পচাগলা দেহ, কেন করা হয়নি ময়নাতদন্ত? জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের বার্তা পেয়েও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল বাগুইআটি থানার পুলিশ? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকায়।