কলকাতা : কলকাতায় এসে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা জয়রাম রমেশের। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘কিছু দল সবসময় কংগ্রেসের থেকে সুবিধা নেয়। কিছু দল নিজেদের নামের সঙ্গে কংগ্রেসকে জুড়ে রেখেছে’।


জয়রামের নিশানায় তৃণমূল


নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে জয়রাম রমেশের আক্রমণ, ‘মজবুত কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য অসম্ভব। কিছু দল বিরোধী ঐক্যের কথা বলে কংগ্রেসকে দুর্বল করতে চায়। কংগ্রেসকে পিছন থেকে ছুরি মারবেন না’। পাশাপাশি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে কংগ্রেস নেতার আক্রমণ, ‘কিছু দল সবসময় কংগ্রেসের থেকে সুবিধা নেয়। কিছু দল নিজেদের নামের সঙ্গে কংগ্রেসকে জুড়ে রেখেছে। কংগ্রেসকে শেষ করা সম্ভব নয়। কংগ্রেস মুক্ত ভারত মানে সংসার মুক্ত ভারত’।


পাল্টা কুণালের


জয়রাম রমেশের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'কংগ্রেসের এক নেতা বলেছেন কংগ্রেসহীন বিরোধী ঐক্যের কথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও কংগ্রেসবিহীন জোটের কথা বলেননি। তাঁরা বলেছেন, বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে যে দায়িত্ব কংগ্রেসের পালন করার কথা ছিল, সেটা তারা করেননি। এমন বেশ কিছু রাজ্য রয়েছে যেখানে বিজেপির প্রধান বিরোধী কংগ্রেস। কিন্তু তাদের ভূমিকা কোথায়। আর কংগ্রেস ক্রমশ ব্যর্থ হচ্ছে বলেই ২০১৪, ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় এসেছে। শীতঘুম ভেঙে কংগ্রেস উঠুক, কংগ্রেস নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক।'


কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা


রবার নির্বাচনে হার। লোকসভা থেকে বিধানসভা, সব ক্ষেত্রেই প্রায় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। তার উপর দলে ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে বিদ্রোহ। গত বেশ কয়েক মাসের মধ্যে দল ছেড়েছেন একের পর এক বরিষ্ঠ নেতা। প্রায় সবক্ষেত্রেই তাঁদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) এবং দলের পরিচালনা। এর মধ্যেই দেশজুড়ে 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচি শুরু করেছে কংগ্রেস। বুধবার, তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গাঁধী এবং কংগ্রেসের (Congress) বাকি নেতারা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ১৫০ দিন ধরে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালাবে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে উত্তর দিকে ক্রমশ এগোবে কংগ্রেসের এই যাত্রা। এদিন কন্যাকুমারীতে এই কর্মসূচি শুরুর সময় রাহুল গাঁধীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।


আরও পড়ুন- পুজোর মুখে অসুর বৃষ্টি, দেবীপক্ষ শুরুর আগে দুর্যোগের ঘনঘটা