রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিনের মাথায় ভাগীরথী নদী থেকে উদ্ধার হল বহরমপুরের বাসিন্দা এক নার্সের পচাগলা দেহ। বুধবার নার্সিং হোম থেকে ফেরার পথে মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে দাবি করেছে মৃতার পরিবার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানা।


আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন ঘিরে উত্তাল রাজ্য। এই পরিস্থিতি এবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উঠে গেল একাধিক প্রশ্ন। মৃত বছর ছাব্বিশের সুচিত্রা মণ্ডল বহরমপুরের একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন। থাকতেন বহরমপুর শহরের একটি মেসে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ নার্সিং হোম থেকে ডিউটি সেরে মেসে ফেরার পথে মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সুচিত্রা। কিন্তু রাত দশটা থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি বলে দাবি পরিবারের। সেদিন রাতে মেসেও ফেরেননি তিনি। 


এই অবস্থায় মেয়ের খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হন মা। বহরমপুর থানা সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে বহরমপুরের ভাগীরথী সেতুতে একজোড়া জুতোর খোঁজ পায় পুলিশ। এরইমধ্যে পুলিশ সূত্রে দাবি, এক ব্যক্তি থানায় ফোন করে এক যুবতীর ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কথা জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এক যুবতীকে ওই সেতুতে উঠতে দেখে। এরপর শনিবার রাতে ভাগীরথী নদী থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর পচাগলা মৃতদেহ।


বহরমপুরে গ্লেনউড হেলথ কেয়ার নার্সিং হোমে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। ওই নার্সিং হোমের ম্যানেজার শ্যাম অধিকারী বলেন, '৪ তারিখে ডিউটিতে এসেছিল। নার্সিং হোমের তরফে যে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার সব দিয়েছি...জানি না কেন ঘটল।'


কীভাবে মারা গেলেন ওই নার্স? পরিবার এই বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি করছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় যাঁকে দেখা গেছে, তিনিই কি সুচিত্রা? ওই নার্সই কি ঝাঁপ দিয়েছিলেন ব্রিজ থেকে? পুলিশকে ফোন করে ঝাঁপ দেওয়ার কথা বলল কে? সুচিত্রা মণ্ডল কি আত্মঘাতী হলেন? নাকি কোনও দুর্ঘটনা ঘটল? নার্সের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই তো, এখন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: 'আনুগত্য কিনতে চায় বলেই প্রত্যাখ্যান...' দুর্গাপুজো অনুদান ফেরালো শহরের আরও ২ ক্লাব