রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির টিনের ছাউনি। গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীর মা। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুরের বানজেটিয়া বেলতলায়। মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী প্রবীর মণ্ডল অন্যত্র থাকেন। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। প্রতিবেশীর এসে তৃণমূল কর্মীর মাকে উদ্ধার করেন। বিস্ফোরণে জখম প্রৌঢ়া মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল কর্মী। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


এর আগে, গত ৭ তারিখ, সাতসকালে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় ৩০টা তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জ্বালাদিপুর গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, আমবাগানে পড়ে আছে বোমা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। 


তার আগে, গতমাসের শেষদিকে, মুর্শিদাবাদের কান্দিতে তৃণমূলকর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১২টি তাজা বোমা। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলকর্মীকে। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আন্দুলিয়া পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরে সুকুর শেখ নামে এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে হানা দেয় কান্দি থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় ১২টি বোমা। গ্রেফতার করা হয় সুকুর শেখকে। ধৃতের দাবি, তাঁকে ফাসানো হয়েছে।


ওই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় শাসক-বিরোধী তরজা। কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুকুর শেখের গোয়ালে বোমা রাখা হয়েছিল। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ভালো ভোট পয়েছিল। চক্রান্ত করে অসমাজিক কার্যকলাপে যুক্তরা বোমা রেখে ফাঁসাচ্ছে।


অন্যদিকে, কান্দির বিজেপি নেতা গৌতম রায় বলেন, রাজ্যজুড়েই এই ঘটনা ঘটছে। ভোটের সময়ই ওরা বোমা মজুত করেছিল। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারলেই সত্যি সামনে আসবে। অশান্তি করার জন্যই এসব রাখা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ধৃতকে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে, ৩ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।