রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভর দুপুরে বিধ্বংসী আগুন হরিহরপাড়ায়। আগুনে পুড়ল একের পর এক বাড়ি। দমকলের একটি  ইঞ্জিনের  চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে পুরে ছাই ৮টি পরিবারের প্রায় ১৫টি ঘর। আগুন নেভাতে গিয়ে জখম হন দুই জন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার দুপুরে হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারিতলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নূর মোহাম্মদের বাড়িতে রান্না করার সময় আগুন ছড়িয়ে পরে বাড়িতে। একের পর এক বাড়িতে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। যদিও ততক্ষণে আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে পরপর ৮টি বাড়ির প্রায় ১৫টি ঘর। আগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। আগুনে সব হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলি। 


এদিন মালদাতেও ভয়াহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে হিজল ফরেস্টে ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর ও ধুমপুর অঞ্চলের গ্রামের মাঝে অবস্থিত এই হিজল বন ৷ বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আগুন লাগে এই হিজল ফরেস্টে। কিছুটা সময় গড়াতেই বাড়তে থাকে আগুন। তারপরেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান বিএসএফ জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ-দমকল। 


হরিশ্চন্দ্রপুরেও আগুন:
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হল এক দিনমজুরের বাড়ি। ক্ষয়ক্ষতি কয়েক লক্ষ টাকা। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামে আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাদেক আলি নামে এক দিনমজুর। আগুন কীভাবে লেগেছে তার উৎস জানা যায়নি। দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়,নগদ টাকা,শস্য,অলঙ্কার ও কাগজপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


এদিন কলকাতা শহরেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সকালে রাজভবনের কাছে শরাফ হাউসে আগুন লাগে। বাড়ির চারতলার ছাদের একাংশ দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল। রাজভবন থেকে রাস্তায় বাইরে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। আগুন নেভানোর কাজে তদারকি করেন তিনি। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আনা হয় হাইড্রলিক ল্যাডার। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মুখ্য়মন্ত্রী। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। সূত্রের খবর, ছাদের ওপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্যান্টিন ছাড়াও ১১টি অফিস ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ক্যান্টিন থেকেই আগুন ছড়ায়। ভস্মীভূত হয়ে যায় সবকটি অফিস। ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। পুড়ে যায় আশেপাশের কয়েকটি গাছও। দমকলের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘটনাস্থলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।


আরও পড়ুন: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?