রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফেসবুকের (Facebook) বান্ধবীর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করার জন্য বোরখা (Burqa) পরে মেয়েদের মেসে ঢোকার অভিযোগ। কিন্তু ধরিয়ে দিল পায়ের জুতো। বহরমপুরের (Berhampore) গোরাবাজারে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ (Police)। সুতপা চৌধুরী খুনের পর মেয়েদের মেসের নিরাপত্তা নিয়ে ফের উঠেছে প্রশ্ন।


কী ঘটেছে? 


বান্ধবীর টানে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া থেকে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। দেখা তো হলই না, বোরখা পরে মেয়েদের মেসে ঢোকার অভিযোগে জুটল মার। অভিযুক্তকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। 


গোরাবাজারের মেস মালিক সাগির জিয়া বলেন, " আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। অভিযোগ জানিয়েছি পুলিশকে। এদিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকা। ভাইরাল হয়েছে ধরা পড়ার পর যুবককে মারধরের ছবি। ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 


কী অভিযোগ? 


অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ, গোরাবাজারে মেয়েদের একটি মেসে বোরখা পরে ঢুকেছিলেন হলদিয়ার বাসিন্দা ওই যুবক। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেসের এক আবাসিক ছাত্রী প্রিয়রঞ্জনকে বান্ধবী পরিচয় দিয়ে ভিতরে নিয়ে যান। কিন্তু পায়ে ছেলেদের জুতো দেখে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের।


আরও পড়ুন, 'যত সাধারণ জীবন, তত দূরে থাকবে রোগজ্বালা', ১২৬-এও নিরোগ থাকার মন্ত্র জানালেন স্বামী শিবানন্দ


এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই পর্দাফাঁস। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গোরাবাজারের ওই মেসবাড়িতে থাকতেন বহরমপুর গার্লস কলেজের এক ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল হলদিয়ার যুবকের। 


অভিযোগ, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বোরখা পরে মেসে হাজির হন তিনি।  গত ২ মে এই বহরমপুর শহরেই মেস থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় খুন করা হয় মালদার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। তারপর আবার এক মেস-কাণ্ড ঘিরে সরগরম বহরমপুর। 


বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, "সুজাতা কাণ্ডের পর আবার এই ঘটনা। দুটো ক্ষেত্রেই বহিরাগতরা ইমোশনের বশে এধরনের কাজ করছে। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা বসব। বলব কড়া পদক্ষেপ নিতে। মেস মালিকদের আগেও ডেকেছিলাম। আবার তাদের বলব সব রেগুলেশন কঠোর ভাবে মানতে। এই ধরনের ঘটনা দেখলেই যেন এফআইআর করা হয়।" 


সুতপা খুনের ভয়াবহ স্মৃতি বহরমপুরবাসীর মনে এখনও দগদগে। তার মধ্যেই এই ঘটনা নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।