রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : গঙ্গা ও পদ্মার জলে প্লাবিত মুর্শিদাবাদের পাঁচটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন বাড়ি-ঘর, রাস্তা, চাষের জমি। রঘুনাথগঞ্জে জল ঢুকেছে বিএসএফের ক্যাম্পেও। স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চাষের জমি, রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি-ঘর, সবই জলের তলায়। এমনকি জল থইথই বিএসএফের ক্যাম্পও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিহারে অতিবৃষ্টির জেরে খুলে দেওয়া হয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট। মোট ১০৯টি লকগেট খুলে দেওয়ার জেরে তাতেই পদ্মা ও গঙ্গার জলে ভেসে গিয়েছে নদী তীরবর্তী একের পর এক গ্রাম। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থেকে জলঙ্গি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা। রঘুনাথগঞ্জ, সামশেরগঞ্জ, ভগবানগোলা, জলঙ্গি, রানিনগর জেলার এই পাঁচটি ব্লকের বহু মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। বাদ যায়নি রঘুনাথগঞ্জের বাহুরা ৭৮ নম্বর বিএসএফের বিওপি ক্যাম্পও। জল ঢুকে পড়ায় আপাতত ছাউনি-ছাড়া জওয়ানদের আস্তানা হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুল। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ৫টি ব্লকের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতের দিকের খবর, এলাকাগুলি এখনও জলের তলায় থাকলেও ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করেছে।
এদিকে কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ভাঙনের কবলে লহরপুর, শিবপুর এলাকা। গঙ্গার ভাঙনের জেরে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, জমি। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকে সরে যেতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। গত বছর যাঁরা ভাঙনে বাড়ি হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে কাল পাট্টা দেওয়া হয়। এলাকায় ভাঙনের আতঙ্ক রয়েছে। যাঁদের বাড়ি এখনও তলিয়ে যায়নি তাঁরাও সেখান থেকে সরে যাচ্ছেন। শুধু মুর্শিদাবাদই নয় গঙ্গার ভাঙনের জেরে মালদার বিস্তৃর্ণ অংশের মানুষও প্রবল অসুবিধার মধ্যে পড়েন কার্যত ফি বছরই। গোটা বঙ্গেই নদী তীরবর্তি একাধিক এলাকায় ভাঙন সমস্যা ক্রমশ ভয়াল আকার ধারণ করছে।