মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে গুলি করে খুন। হিজল গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নার্সিদা খাতুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন নার্সিদা। নতুনগ্রামে নার্সিদার স্বামী পাওয়ার হোসেনকে গুলি করে খুন। দেহ উদ্ধার পুলিশের, কী কারণে খুন তদন্তে পুলিশ। 


পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অসংখ্য খুন


পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে এর আগেও অসংখ্যা খুনের ঘটনা ঘটেছিল বাংলা। অসংখ্য মায়ের কোল খালি হয়েছিল। একাধিক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। ঘুম ভেঙে মধ্যরাতে বাড়িতে আগুন জ্বলে ওঠার ঘটনাও দেখেছিল দু প্রার্থী। রান্নাঘরে বোমা ছোড়া থেকে শুরু করে, নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটেছিল সেসময়। তবে এরই সঙ্গে ঝালদা এবং পানিহাটির খুনের ঘটনাও ভোলার নয়। এমনকি একুশের ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ সরকারের ঘটনাও নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। তবে বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেও কার্যত খুনের মতো অপরাধে যবনিকা পড়ল না বঙ্গে।


নৃশংসভাবে খুন আরও একাধিক


সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে (Swarupnagar Incident) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীকে। নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। চাষের জমিতে মিলল গলার নলি কাটা, হাত-পা বাঁধা, অর্ধদগ্ধ দেহ। হাথরসে গেলে স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল? খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও (Adhir Chowdhury)।  


সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিলেন এই তরুণী?


সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রামে কাঁকরোল খেতের মধ্যে এভাবেই পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। ঘটনাস্থল থেকে মেরেকেটে ৪০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামের ঘটনা ঘিরেই হুলস্থুল পড়ে  যায় এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, তরুণীর দেহের পাশেই পড়েছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঠিকানা লেখা চশমার খাপ, মোবাইল ফোনের ব্যাক কাভার ও একটি ব্যাকপ্যাক। তাহলে কি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিলেন এই তরুণী?


হাথরসে কী হয়েছিল ?


উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের শিকার হন দলিত পরিবারের বছর উনিশের এক তরুণী। ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।হাথরসকাণ্ডে নির্যাতিতার গ্রামে প্রতিনিধিদল পাঠায় তৃণমূল। যোগীরাজ্যের পুলিশ আটকে দেয়।সম্প্রতি লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।এদিন স্বরূপনগরের ঘটনায় সেই প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি। 


আরও পড়ুন, মহুয়া মৈত্রর করা মানহানির মামলায় ট্যুইস্ট দিল্লি হাইকোর্টে !


 বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'সরকার নেই। সবচেয়ে অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী। আজকেও এরা হাথরসে টিম পাঠায়। স্বরূপনগরে টিম পাঠান', বলে দাবি তুলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, 'আমাদের লজ্জা।.. রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই আরও একবার প্রমাণ হল।'