রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: রেলসেতু (Rail Bridge) তৈরির ৮ বছর পরও তৈরি হয়নি মুর্শিদাবাদ-আজিমগঞ্জ (Murshidabad-Azimganj) রেলপথ। যদিও রেলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, চাকরির দাবিতে বারবার জমিদাতারা আন্দোলন করায় শেষ হচ্ছে না প্রকল্প। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সমস্যা মেটাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে রেল কর্তৃপক্ষ।


চাকরির দাবিতে বারবার রেলের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে ৮ বছর পরেও পাতা যায়নি ৫০০ মিটার রেলপথ। এবার সমস্যা মিটিয়ে মুর্শিদাবাদ ও আজিমগঞ্জের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে উদ্যোগী হল রেল। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিয়ালদার ডিআরএম (DRM)। 


রেল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ থেকে আজিমগঞ্জের মধ্যে রেল যোগাযোগের জন্য ২০০৫-এ নশিপুরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ওই বছরই শুরু হয় কাজ। ভাগীরথীর উপর তৈরি হয় রেল সেতু। ২০১৩ সালে সেতুর কাজ শেষ হলেও চাকরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জমিদাতারা। যার জেরে ৫০০ মিটার রেললাইন পাতা যায়নি বলে দাবি রেলের। 


শিয়ালদার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শীলেন্দ্র প্রতাপ সিংহের কথায়, 'রেল ও সরকার যৌথভাবে জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলবে যাতে কাজ সম্পূর্ণ হয়। জমিদাতাদের দাবি ছিল কর্মসংস্থান। সেই দাবি মানা হলেও পরবর্তীকালে কিছু জটিলতায় সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। আপাতত চাকরি দেওয়ার কোনও পলিসি নেই রেলের।'


এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি‍। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, 'রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় রেলের এই কাজ শেষ হচ্ছে না। জমিদাতাদের উস্কে দিচ্ছে তৃণমূল।'


অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের কথায়, 'লোকসভায় আমরা বিষয়টি তুলেছিলাম। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে রেল। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আলোচনা অনেকটাই ফলপ্রসু হয়েছে। দ্রুত এখানে রেললাইন পাতা হবে।'


কিন্তু নশিপুরের বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? বন্ধ হোক এই রাজনৈতিক আকচাআকচি। শেষ হোক রেল প্রকল্প। এমনটাই চাইছেন নশিপুরের মানুষ। নশিপুর, মুর্শিদাবাদের নশিপুরের জমিদাতা সুফল মণ্ডলের কথায়, '৮ বছর হয়ে গিয়েছে। চাইছি এখন কাজটা শেষ হোক। চাকরি যদি দেয় ভাল। না হলে আর কী করা যাবে।'


আরও পড়ুন: Paschim Medinipur : পুরভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে সমীক্ষা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ? মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার মন্তব্যে জল্পনা; কটাক্ষ বিজেপির


মুর্শিদাবাদ ও আজিমগঞ্জের মধ্যে এই রেলপথ চালু হলে অনেক কম সময়ে পৌঁছনো যাবে উত্তরবঙ্গে। দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সময় কম লাগবে বলে দাবি রেলের।