রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভাড়া বাড়ি থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মুর্শিদাবাদে। মৃতদের নাম সুনীল কুন্ডুর (৫৫) ও আন্না হালদার (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রমনা নগর পুরনো বিডিও সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার খবর পুলিশের কানে পৌছাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুরো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 


ঠিক কী হয়েছে?


প্রয়াত সুনীল কুন্ডুর বাড়ি ডোমকলের অম্বরপুর এলাকায়। পেশায় ডোমকল ব্লকের খাদ্য দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী আন্না হালদার ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তাঁর বাড়ি ডোমকলের মধুরকুলে। বিগত দেড় বছর আগে আন্না হালদারের স্বামী মারা যাবার পরেই সুনীল কুণ্ডর সঙ্গে রেজিষ্ট্রি বিবাহ হয়। এরপরই ডোমকলের পুরনো বিডিও মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন সেই দম্পতি। সূত্র মারফৎ এমনও জানা গিয়েছে যে সুনীল কুন্ডু তাঁর প্রথম পক্ষের দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ কমেছে দ্বিতীয় বিবাহের পরেই। যদিও দ্বিতীয় বিয়ের পরে ভাড়া বাড়িতে থেকেও মাঝে মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। হঠাৎ সকাল থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।


তারপরেই সন্দেহের দানা বাঁধে। আন্না হালদারের পরিবারের লোকজন ঐ ভাড়া বাড়িতে খোঁজ করতে আসতেই বাড়ির কলাপসিবল গেটের ভিতর দিক থেকে তালা লাগানো দেখতে পায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির পিছনের গেট এবং সামনের কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করতেই আন্না হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাশের ঘরে উদ্ধার হয় সুনীল কুন্ডুর মৃতদেহ। আন্না হালদারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর বিছানা থেকেই উদ্ধার হয় কিটনাশকের বোতল। পুলিশের অনুমান স্ত্রী আন্না হালদারকে খুন করে সুনিল কুন্ডু নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ।