রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : সমবায় সমিতির ভোট ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদা। উঠল গুলি চলার অভিযোগও। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও। অন্যদিকে ভোটের মাঝেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূলপন্থী প্রার্থীরা। ভোটে প্রহসনের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। 


সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, বাড়ছে চিন্তা


পরপর অস্ত্র উদ্ধার, বিস্ফোরণ, হত্য়ার আবহে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এরকম চললে, কয়েকমাস পর পঞ্চায়েত ভোট আদৌ কতটা শান্তিপূর্ণ হবে? এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরাল করে, মুর্শিদাবাদে সমবায় নির্বাচনেও উঠল গুলি চলার অভিযোগ ! ১৪৪ ধারা জারি করেও ঠেকানো গেল না অশান্তি। মুর্শিদাবাদের নওদায় চাঁদপুর সমবায় সমিতির ভোটের কেন্দ্র ছিল পাটিকাবাড়ি হাইস্কুলে।                                                 


সমবায়ে ভোটচিত্র


মোট ৯ টি আসনে কংগ্রেস, সিপিএম ও আরএসপি সমর্থিত ৩ জন করে প্রার্থী, জোটবদ্ধ হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে লড়ছিলেন ৯ জন তৃণমূলপন্থী। ভোটার ৯৮১ জন। ভোটগ্রহণ শুরুর পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ তোলেন কয়েকজন ভোটার।


এই নিয়ে গন্ডগোলের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সামনেই দেখা যায়, লাঠি হাতে একদল যুবক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আচমকা তিন রাউন্ড গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। রাস্তায় মেলে গুলির খোলও। 


এখানেই শেষ নয়, গন্ডগোলের খবর করতে গেলে, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতির প্ররোচনায় কয়েকজন সাংবাদিককে মারধরও করা হয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে গেলে, এবিপি আনন্দকে বাধা দেয় পুলিশ। ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় সাংবাদিকদের।


আদালতের নির্দেশে ভোট


মুর্শিদাবাদের এই সমবায় সমিতিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোট না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। আদালতের নির্দেশেই ভোট হয়। কিন্তু, গন্ডগোল-অশান্তির পর মাঝপথেই ভোটের লড়াই থেকে সরে যান ৯ জন তৃণমূলপন্থী প্রার্থী। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে ফের হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম-কংগ্রেসও।


আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই বন্ধ শিক্ষকদের স্কুলে বদলি, এসএসসির আবেদন মেনে সিদ্ধান্ত