কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই বন্ধ শিক্ষকদের স্কুলে বদলি।  ৩০ জুন পর্যন্ত বদলি শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া । বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্য সরকারের। নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা ভেবে এসএসসির আবেদন মেনে সিদ্ধান্ত, খবর সরকারি সূত্রে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সমস্ত বদলি বন্ধ ।


এদিকে এর আগে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট।  শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। রাজ্যকে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানাতে হবে। তারপরই আদালত বদলির নির্দেশ দেবে। তার আগে কোনও বদলি সংক্রান্ত মামলার নির্দেশ দেবে না এই আদালত।                                               


সম্প্রতি, ঝালদা হাইস্কুলের অঙ্কের এক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় পুরুলিয়ার সব স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুরুলিয়ার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের বদলি চেয়ে হাইকোর্টে করা মামলায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ওই স্কুলে কত জন পড়ুয়া রয়েছে? মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ৫৬ জন পড়ুয়া রয়েছে।                         


আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে হলফনামা জমা প্রাথমিকের বিতর্কিত ৮৮ শিক্ষকের


তখন বিচারপতি বলেন, এখন ভাল করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। এখন আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানতে চেয়েছেন। আমিও চাইছি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা বদলি চাইছেন। তাঁরা বেতন নিচ্ছেন। অন্যান্য সুযোগও পাচ্ছেন। এটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে।                                                                            


তা থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হয়, তা লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু বদলি চাইলেই হবে না। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, বেশিরভাগ গ্রাম থেকেই অনেক শিক্ষক শহরে আসতে চাইছেন। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ট্রান্সফারের ই-পোর্টাল বন্ধ রয়েছে। এরপরই, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও প্রাথমিক শিক্ষকের বদলির নির্দেশ নয় বলে, জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি মামলার শুনানিতে, স্কুলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।