রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে। মৃত্যু একই পরিবারের ৩ সদস্যের। মৃত্যু বাবা, মা, মেয়ের। মৃতেরা রেজিনগরের দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত্রি সাড়ে দশটার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।


মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিক্রম হালদার (৪০)। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অর্চনা মণ্ডল হালদার (৩৭) ও  কন্যা। নবমীর রাতে ঠাকুর দেখে রেজিনগর থেকে দাদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।  জাতীয় সড়কের উপর বাইকে ফিরছিলেন একই পরিবারের ৩ সদস্য। স্থানীয়দের দাবি, সেই সময় রেজিনগরে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে বাস।  ঘটনাস্থলের মৃত্যু হয় এক জনের। ৩ জনকে উদ্ধার করে বেলডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে ১ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি ২ জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়।



মহাসপ্তমীতেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল এই রাজ্য। পথ দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও কন্যা হারিয়েছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিতের চিকিৎসক। নিজেও হয়েছিলেন গুরুতর আহত। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক কিশলয় নায়েক, তাঁর পরিবার নিয়ে চার চাকা গাড়ি করে কলকাতা থেকে বর্ধমান আসছিলেন। সেই সময় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের গাড়ি রাস্তার পাশে ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ের। পরে গুরুতর আহত চিকিৎসক কিশলয় নায়েককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 


আরও পড়ুন, এবার হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি 'ফেমা'র, ' সমাধান না বেরোলে, অনশনকারীরা মৃত্যুর দিকে..'


পুজোর আবহেও আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল মহানগর। এবার মহালয়ার সকালে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল কলকাতায়। পে লোডারের ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রের। স্থানীয়রা ২টি পে লোডারে ভাঙচুর চালায়। কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বাঁশদ্রোণির দীনেশ নগরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মৃত সৌম্য শীলের বাড়ি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় রাস্তা বেশ কয়েকবছর ধরে বেহাল। এবার পুজোর মুখে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। আজ টিউশন পড়তে যাওয়ার সময়, সরু রাস্তায় ওই ছাত্রকে পিষে দেয় পে লোডার। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিন স্থানীয়রা। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উঠেছিল ‘হায়, হায়’ স্লোগান। নিকাশির কাজ হওয়ায় রাস্তা সারানো হচ্ছিল, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কাউন্সিলরের। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।